বাকৃবি প্রতিনিধি:বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সহযোগী আওয়ামীপন্থী গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম ও ছাত্রলীগসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষকবৃন্দের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষক ও শিক্ষার্থী নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ভিন্নমতের শিক্ষকদের পদোন্নতি আটকে রাখা, তাদের ওপর শারীরিক হামলা চালানোসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়াও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গেস্টরুমে ‘ম্যানার শেখানো’র নামে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, হলে সিট বাণিজ্য, ভিন্নমতের শিক্ষার্থীদের মারধর ও হল থেকে বের করে দেওয়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগও রয়েছে। আশরাফুল হকের শিক্ষার্থী সাদ ইবনে মমতাজকে শিবির ট্যাগ দিয়ে ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ রাতে হলের ২০৫ নাম্বার রুমে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ রয়েছে ছাত্রলীগের ৬ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। তারা হলেন রেজাউল করিম রেজা, সুজয় কুমার কুন্ডু, রোকনুজ্জামান রোকন, দেওয়ান মুনতাকা মুফরাদ, নাজমুল শাহাদাত রাসেল এবং অন্তর চৌধুরী। তারা বর্তমান দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। এদের বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সংগঠন দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে।
সর্বশেষ, বাকৃবিতে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মুক্ত আলোচনায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বাকৃবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মুঈন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, বাকৃবি শাখার আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাকৃবি শাখার সভাপতি সঞ্জয় রায়সহ নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীরা দ্রুত গণতদন্ত কমিশনের কাজ শেষ করে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানান।
এসময় বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, বাকৃবিতে ফ্যাসিবাদ সহযোগীদের গনতদন্ত কমিশন সিন্ডিকেট কমিটিতে উত্থাপিত হয়েছে। সবাই সেখানে সমর্থন দিয়েছে। তাদের শাস্তি ৫ই আগস্টের আগেই দেওয়া হবে। বিগত বছরে তাদের দ্বারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছে। যারা এই অপরাধে জড়িত, তাদের শাস্তি পেতেই হবে।
অধ্যাপক ফজলুল হক ভূঁইয়া আরও বলেন, আশরাফুল হক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা সাদ হত্যার বিচারের জন্য হত্যাকারীদের কাছ থেকে শোকজ চাওয়া হয়েছে। তাদের জন্য শাস্তি নির্ধারিত আছে। তারা যদি সুষ্ঠু জবাব দিতে না পারে শাস্তি তাদের পেতেই হবে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বার মোড়ে হোটেল ও বাস অব্যবস্থাপনা রোধে এবং শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা বৃদ্ধির আশ্বাস দেন।