অনুষ্ঠিত হলো বরগুনা জেলা অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক বনভোজন ২০২৫

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: আজ নারায়ণগঞ্জের সুবর্ণগ্রাম রিসোর্টে অনুষ্ঠিত হলো বরগুনা জেলা অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন-এর আয়োজনে বার্ষিক বনভোজন ২০২৫। দিনব্যাপী এ আয়োজনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দায়িত্বপালনকারী বরগুনা জেলার প্রায় দুই শতাধিক সরকারি কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণসহ ছিল এক প্রাণবন্ত মিলনমেলার আবহ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন মনিরুজ্জামান রাজু, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং ড. মোঃ আল-মামুন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। স্বাগত বক্তব্য দেন মোঃ কুদরাত ই খুদা গালিব, সহযোগী অধ্যাপক এবং সদস্য সচিব, বনভোজন উদযাপন কমিটি।

আলোচনায় অংশ নেন মোঃ খাইরুল হোসেন রাজু (ডিজিএম, রূপালী ব্যাংক), কৃষিবিদ মোঃ শহীদুল আমীন (অতিরিক্ত উপ-পরিচালক, ডিএই, ঢাকা), প্রকৌশলী মোঃ তাওহীদুল ইসলাম (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, পাউবো), ড. মোঃ তারিকুল ইসলাম (সহযোগী অধ্যাপক, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ), মোঃ শামীম আহমেদ (যুগ্ম জেলা জজ, মেরিন কোর্ট, ঢাকা), মোঃ আব্দুল কুদ্দুস (উপসচিব, শিক্ষা মন্ত্রনালয়), মোঃ ইলিয়াস কবির (ডেপুটি কমিশনার, ডিএমপি), মোঃ সগীর হোসেন (উপসচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়), মো: মনিরুজ্জামান (পরিচালক, খাদ্য অধিদপ্তর) এবং বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এম এ রহিম। রাসেল সাবরিন যুগ্ম সচিব দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় , মোহাম্মদ জাকির হোসেন যুগ্ম সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়, জনাব মোঃ ইসমাইল হোসেন অতিরিক্ত সচিব স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সময় মন্ত্রণালয়, আরে আসমা আজকে আসে নাই

বক্তারা আবেগআপ্লুত কন্ঠে বরগুনা জেলার উন্নয়নে সকলে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। বরগুনার পিছিয়ে পড়া ও অবহেলিত জনপদের জন্য বরগুনা জেলা অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখবে বলে বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।

এসোসিয়েশনের মূল উদ্যোক্তা ও বনভোজন কমিটির আহ্বায়ক জনাব মোঃ মাসুম বিল্লাহ, উপসচিব বরগুনার সকল কর্মকর্তাদের একটি প্লাটফর্মে এনে নিজেদের মধ্যে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য সকলে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

পুরস্কার বিতরণ পর্বে উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের সম্মানিত অতিরিক্ত বিচারক সগীর হোসেন লিত্তন ও লুৎফর রহমান এবং জনাব ইসমাইল হোসেন অতিরিক্ত সচিব, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় তারা তাঁদের বক্তব্যে অ্যাসোসিয়েশনের ভবিষ্যৎ সফলতা কামনা করেন এবং বলেন, "দল-মত নির্বিশেষে একত্রিত হয়ে বরগুনার উন্নয়নে কাজ করতে হবে।"

বরগুনার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আর্থিক সীমাবদ্ধতা এবং সেখানকার মানুষের সংগ্রামী জীবন উঠে আসে আলোচনায়। এক ফসলি জমি, নদীর মাছ ও সীমিত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বরগুনা থেকে উঠে আসা মেধাবী কর্মকর্তারা এখন দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে কাজ করছেন এ সত্যই আজকের এই মিলনমেলায় প্রতিফলিত হয়েছে।

অনেকেই অনুভব করেন, এই আয়োজন না হলে এত প্রিয় ও পরিচিত মুখগুলো একত্রিত হতো না। দীর্ঘদিন পর নিজেদের মতো করে সময় কাটিয়ে, সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিয়ে এবং বরগুনার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।