মোঃ গোলাম আরিফ: আজ বৃহস্পতিবার ১৬ অক্টোবর পাবনা সদর উপজেলায় বিনামূল্যে শীতকালীন শাকসবজির বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে এ প্রণোদনা বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এস এম ফুয়াদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পাবনা সদর, পাবনা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ জাকিরুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার, পাবনা সদর, পাবনা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান ও সঞ্চালনা করেন কৃষিবিদ শৈলেন কুমার পাল, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার। আরো উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মোঃ আব্দুল কাদির, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা; মোঃ ইউনুস আলী, উপজেলা আইসিটি অফিসার; কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনা সদর এর উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে কৃষি প্রনোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার ও সবজির বীজ বিতরণ করা হয়েছে। আপনারা এই বীজ এবং সার দিয়ে বসতবাড়ির আঙ্গিনায় ও মাঠে ফসল উৎপাদন করবেন। কেউ যেন বিনামূল্যে পাওয়া বীজ এবং সার বিক্রি না করেন। সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। প্রতিনিয়ত আমাদের চাষযোগ্য জমি কমে যাচ্ছে, এজন্য অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দিয়ে মাটিকে অনুর্বর করা যাবে না। অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে একদিকে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে অন্যদিকে ফসলের উৎপাদন খরচ বাড়ছে ও আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। নিরাপদ ফসল উৎপাদনে মাটি পরীক্ষা করে সুষম সার প্রয়োগ, পোকামাকড় দমনে সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থাপনা ও শাকসবজিতে বালাইনাশক ব্যবহারের নির্দিষ্ট সময় পর ফসল সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়।
অনুষ্ঠানে রবি ২০২৫-২৬ মৌসুমে শীতকালীন ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাবনা সদর উপজেলার দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ৯৭৫ জনকে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার প্রদান করা হয়। এ সময় বসতবাড়ির আঙ্গিনায় ৩২৫ জনের প্রতি কৃষক পরিবারকে শীতকালীন শাকসবজির বেগুন ৮ গ্রাম, লাল শাক ১৪২ গ্রাম, পালং শাক ১০০ গ্রাম, মটরশুটি ২০ গ্রাম, লাউ ৩০ গ্রাম, মুলা ১০০ গ্রাম ও বাটিশাক ১০০ গ্রাম এর বীজ বিতরণ করা হয়। মাঠে চাষাবাদের জন্য ৬৫০ জন কৃষকের ১৯০ জনকে লাউ, ২২০ জনকে বেগুন, ৭০ জনকে মিষ্টি কুমড়া ও ১৭০ জনকে শসার বীজসহ প্রতিজন কৃষককে ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হয়।