এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং গ্রামীণ উন্নয়ন সবকিছুর ভিত্তিই কৃষির উপর নির্ভরশীল। বর্তমান সময়ে কৃষি উৎপাদনে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হলো নতুন নতুন কীটপতঙ্গের আক্রমণ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং চাষযোগ্য ভূমির পরিমাণ কমে যাওয়া। কৃষি গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত ফসলের রোগ প্রতিরোধী ও উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন এবং উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি ফসলের স্বাদ ও গুণমান বজায় রাখা। তরুণ গবেষকদের উদ্ভাবনী চিন্তা ও নিষ্ঠা দেশের কৃষি উন্নয়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। তাই তরুণ বিজ্ঞানীদের কাজের যথাযথ মূল্যায়ন ও প্রণোদনা দেওয়া সময়ের দাবি।
আজ ১২ অক্টোবর (রবিবার) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) কৃষি অনুষদের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ভাস-ইউএসডি অর্থায়নে পরিচালিত ডেভেলপমেন্ট অব ইনটিগ্রেটেড পেস্ট ম্যানেজমেন্ট (আইপিএম) এপ্রোচেস ফর নিউলি ইন্ট্রোডিউসড ইনভেসিভ সেপ বিটল অব বোটল গুর্ড ইন সিলেট রিজিউন ওয়ার্কশপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিকৃবি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
প্রকল্পের কো-পিআই ও উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ দেবনাথের উপস্থাপনায় ও সিকৃবি রিসার্চ সিস্টেম (সাউরেস) পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাহমুব ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিকৃবি ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমীর সভাপতি প্রফেসর ড. জহুরুল করিম, বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমীর ফেলো, ড. এম. ইদ্রিস আলী, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোঃ আলিমুল ইসলাম আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি জনবহুল দেশ। এত বিপুল জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা পূরণে কেবলমাত্র ট্রেডিশনাল কৃষি প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে থাকা সম্ভব নয়। আমাদের প্রয়োজন আধুনিক টেকনিক্যাল প্রযুক্তির সংযোজন, যা কৃষিকে আরও কার্যকর, লাভজনক এবং পরিবেশবান্ধব করে তুলবে।
কর্মশালার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে সিকৃবির বিভিন্ন বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।