খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেট সদস্য হলেন কৃষিবিদ ড. এস এম ফেরদৌস

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আগামী দুই বছরের জন্য খুলনা কৃষি বিশ্বদ্যিালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন কৃষিবিদ ড. এস এম ফেরদৌস। চাকুরীকালীন তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হতে পিএইচ ডি ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি সপ্তম ব্যাচের বিসিএস (কৃষি) ক্যাডারের সদস্য হিসেবে কৃষি মন্ত্রলালয়ের অধিন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে ১৯৮৭ সালে চাকুরীতে যোগদান করেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সবশেষে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ উইংয়ের দৌলতপুরস্থ কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট-এর অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন সরকারি চাকরি হতে অবসর গ্রহণ করেন।

পরবর্তীতে তিনি একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থায় সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার হিসেবে যুক্ত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সাথে যুক্ত রয়েছেন। একজন সৎ, নিষ্ঠাবান, আন্তরিক, প্রগতিশীল , ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন, সদালাপী ও ইতিবাচক গুণসম্পন্ন পেশাজীবী হিসেবে সকলের কাছে তিনি সমাদৃত।

সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে এস এম ফেরদৌস জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঈশ্বরীপুর এ সোবহান মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ হতে যথাক্রমে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেন। পরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগী অর্জন করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক কন্যা ও এক পুত্রের জনক। খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মর্যাদার আসনে নিয়ে যেতে তিনি গঠনমুলক ভূমিকা রাখবেন বলে সকলের প্রত্যাশা।

এস এম ফেরদৌস এর পিতা মরহুম এস এম বরকাতুল্যা ৮নং ঈশ্বরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের পরপর তিনবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। সহোদর এস এম মহসিন-উল-মুলক ২০০৯ ও ২০১৪ সালে বিপুল ভোটে শ্যামনগর উপজেলা পরিষদেরে ভাইস-চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার ২০০৯ সালে তাকে অপসারণ করে। তিনি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ একজন সফল ক্রীড়াবিদ ও সংগঠক ছিলেন। ফ্যাসিস্ট সরকার ২০১৪ সালেও তাকে সাময়িকভাবে ভাইস-চেয়ারম্যান পদ হতে অপসারণ করে এবং আদালতের আদেশ বলে তিনি ভাইস চেয়ারম্যানের পদ ফিরে পান।

সদালাপী ও ব্যাপক জনপ্রিয় মহসিন-উল-মুলক শ্যামনগর উপজেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ছিলেন। তার প্রতিষ্ঠিত মুসলিম স্পোর্টি ক্লাব, ঈশ্বরীপুর শাখার বেশ কয়েকজন ফুটবল ও ভলিবল খেলোযাড় খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের কৃতি খেলোযাড় হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের রোষানলে পড়ে মহসীন-উল-মুলক ২০২২ সালে বানোয়াট মিথ্যা মানবতা বিরোধী অপরাধে গ্রেফতার হন ও কয়েক মাস কারাগারে ছিলেন। ২০২৩ সালের ১৯ মে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর রহস্য এলাকার জনগণের কাছে আজও প্রশ্নবিদ্ধ।

কৃষিবিদ ড. এস এম ফেরদৌস বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ-এ অধ্যয়নকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বাকৃবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ম্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি একজন কৃতি ফুটবল ও ভলিবল খেলোয়াড় এবং এ্যাথলেট হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। ১৯৮০ সালে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে তিনি ব্লেজার প্রাপ্ত হন। তিনি বিগত সরকারের আমলে চাকুরী ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হন।