এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: চট্টগ্রামের হাটহাজারীস্থ আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের স্বাগতিকায়, পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি বিভাগ, বিএআরআই এর সহযোগিতায় এবং স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রকল্প (এসএসিপি), বারি অংগের অর্থায়নে ফল ও সবজির সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ আজ ১৮ এপ্রিল শেষ হয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ সহিদুল ইসলাম খান বলেন, উৎপাদিত ফল ও সবজির বড় একটি অংশ প্রায় শতকরা ২৩-৪৩ ভাগ যথাযথ সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নষ্ট হওয়া থেকে বাচানো সম্ভব। তিনি সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনার গুরুত্বারোপ করে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্ব আরো বক্তব্য রাখেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ মসিউর রহমান, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন মোল্লা, ড. মো. মনিরুজ্জামান, ড. মো. তোফজ্জল হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, যেখানে একজন পূর্ণবয়স্ক লোকের দৈনিক প্রায় ২০০ গ্রাম ফল ও ৩০০ গ্রাম সবজি খাওয়া প্রয়োজন সেখানে দেশে উৎপাদিত পরিমান অনুযায়ী আমরা পাই মাত্র ৮২ গ্রাম ফল ও ১৬৬ গ্রাম সবজি। উপরন্তু উৎপাদিত ফল ও সবজির শতকরা ২৩.৬০-৪৩.৫০ ভাগ যথাযথ সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনার অভাবে নষ্ট হচ্ছে। তাই ফল ও সবজির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার জন্য উন্নত উৎপাদন কলাকৌশল অবলম্বন করার পাশাপাশি সংগ্রহোত্তর পর্যায়ের অপচয় এবং নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করাও অত্যন্ত জরুরী।
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল চট্টগ্রাম রাজধানী ঢাকা থেকে অনেক দূরে হওয়ায় সেইসব এলাকার ফল ও সবজি পরিবহনে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়। ফলে অধিকাংশই সংগ্রহোত্তর পর্যায়ে অপচয়ের সন্মুখীন হচ্ছে। তাই উৎপাদন ১০ % বৃদ্ধির চাইতে সংগ্রহোত্তর ক্ষতি ১% কমানো অনেক শ্রেয়। সভাপতি ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, সংগ্রহোত্তর ক্ষতি কমানোর একটি বড় পদক্ষেপ হচ্ছে প্রক্রিয়াজাতকরণ। প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রযুক্তির বিস্তারের সাথে গ্রহণেরও নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। এই লক্ষ্যেই গত ১৭ এপ্রিল হতে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ২৫ জন প্রশিক্ষক তৈরীর উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।