এগ্রিলাইফ প্রতিনিধি: গাভী, ষাঁড় এবং বাড়ন্ত বাছুরের নেগেটিভ এনার্জির ভারসাম্য বজায় রাখতে কার্যকর একটি পণ্য "Cofeed" যা গুণগত মানসম্পন্ন মাংস ও দুধ উৎপাদনের জন্য একটি চমৎকার সহায়ক পণ্য। এটি দুগ্ধবতী গাভীর দুধ উৎপাদনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা ছাড়াও মাংস, দুধ এবং দুধের ফ্যাট বৃদ্ধি করে। ফলে নিরাপদ স্বাদের দুধ ও মাংস উৎপাদনে Cofeed-এর জুড়ি মেলা ভার। সর্বোপরি Cofeed ব্যবহারে দুগ্ধ ও মাংস উৎপাদনকারী খামারীরা ২০-৩০ শতাংশ উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারবেন।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) গাজিপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার প্রবেশিকা উত্তর সংঘ ক্লাবে সকাল ১০ টা থেকে শুরু হওয়া দিনব্যাপী আয়োজিত এ কর্মশালায় এসব তথ্য তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন আরহাম এগ্রোভেট-এর জেনারেল ম্যানেজার (সেলস্ এন্ড মার্কেটিং) ডা. তাপস কুমার ঘোষ।
কারিগরী এ কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে Cofeed-এর বিভিন্ন গুণাগুণ ও ব্যবহার বিধি তুলে ধরে ডা. তাপস কুমার বলেন, Cofeed নিয়ম মেনে খাওয়ালে অবশ্যই গাভীর দুধ উৎপাদন ২০-৩০ শতাংশ বেশি হবে। অত্যন্ত সুলভ মূল্যে বাজারজাতকৃত USA থেকে আমদানীকৃত Corn feed supplement কোফিড ব্যবহার করে খামারীরা গরু মোটাতাজাকরণ করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ডেইরি বিশেষজ্ঞ আদর আলী জনাব মোবারক হোসেন প্রমূখ সহ প্রায় ৪০ জন খামারী উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় আগত অতিথিরা বলেন আমাদের দেশের ভোক্তারা খাবারের ব্যাপারে অনেক সচেতন। তারা নিরাপদ উপায়ে উৎপাদিত খাদ্য পুস্টিকর খাবার খেতে আগ্রহী। কাজেই আমাদের নিরাপদ উপায়ে দুধ ও মাংস উৎপাদন করতে হলে খামারে নিরাপদ পণ্য ব্যবহার করতে হবে। সে ক্ষেত্রে Cofeed ব্যবহারে নিরাপদ দুধ ও মাংস উৎপাদনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি চমৎকার সহায়ক পণ্য।