সমীরণ বিশ্বাসঃ ২৪ অক্টোবর ২০২৩ “বাজার এ সবচেয়ে চড়া সবজির দর ছিলো: সেঞ্চুরি করে ফেলেছিলো ঝিংগা, বরবটি, পটল, বেগুন। সেই সময় হাফ সেঞ্চুরি পার করেছিলো মিষ্টি কুমড়া ৬০, চাল কুমড়া ৬০, শশা ৬০, লাউ ৫০। ৩০ টাকা কেজি পেঁপে ছিলো বাজারে সবচেয়ে সস্তা সবজি ।
পিছ বা অল্প করে সবজি কেনার দিনও যেন শেষ হয়ে আসছে ! আর বেশি দেরি নাই ! অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়েছে ২ মাসের বেশি, নিশ্চয়ই এখন আর সিন্ডিকেট নাই, চাঁদাবাজি নাই। আজ ২০২৪ এর ১৩ অক্টোবর, ঢাকা মিরপুর ৬ বাজার থেকে সকালের বাজারদর : ধুন্দল, জিংগা, বরবটি, পটল ১৪০; বেগুন ২০০, পেপে ৬০, টমেটো ২৬০, গাজর ১৮০, করল্লা ১৪০ টাকা, শশা (দেশি ১৫০, হাইব্রিড ১০০), লাউ ৮০-১০০টাকা।
অন্যদিকে ২০ টাকা আটি কলমি শাক আছে অবশ্য যা কয়দিন আগেও ১০টাকা ছিল। লাউশাকের মুঠি ৭০ টাকা। ডাটা শাকের মুঠি ৫০ টাকা। যার দাম দুই মাস আগেও পর্যায়ক্রমে ছিল ৪০ এবং ২০ টাকা। প্রায় সব কিছুর দাম গত বারের থেকে দেড় থেকে দ্বিগুনেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন কেন ? আর কত? ক্রেতারা তা জানেন না। এই লাগামহীন দামের রশি কে টানবে ? কে থামাবে ?? সবজির বাজারে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস !! কবে শেষ হবে, সবজির বাজারের এই উৎকণ্ঠা ?? কেহই জানে না, অসীমের এই ঊর্ধ্ব যাত্রা !
সরকারের পক্ষ থেকে, বাজার মনিটরিং এবং তদারকি অতীব জরুরী বলে মনে করেন সাধারণ জনগণ। এই বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য বিক্রেতারা সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন। এলাকার স্থানীয় প্রশাসন এবং দেশের গৌরব সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণে দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় খুচরা ও পাইকারি বাজারে কঠোর নজরদারি বাড়ানো বলে মনে করেন সুধীজনেরা ।
ব্যবসায়ীদের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা, ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ করা এবং যৌক্তিক দামে পণ্য বিক্রয়ের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হউক। জনস্বার্থে বাজার তদারকিমূলক অভিযান অব্যাহত রাখা এখন সময়ের দাবি।
লেখক: কৃষি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ।