অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের নারী শ্রমিকদের ঐক্যই তাদের শ্রমআইনে অন্তর্ভূক্ত করবেঃ শ্রম সংস্কার কমিশন প্রধান

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের নারী শ্রমিকদের ঐক্যই শ্রমআইনে অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে তাদের অধিকার নিশ্চিত করবে বলে মনে করেন সরকারের শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার ঢাকায় অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ, সুনীতি প্রকল্প ও সহযোগী সংস্থাদের আয়োজনে ১৬ দিনব্যাপী প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের এ কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের নারী শ্রমিক; বিশেষত গৃহকর্মী, নারী মৎস্যজীবি, চা বাগান শ্রমিক ও তৈরি পোশাক খাতের প্রায় তিন শতাধিক নারী শ্রমিক অংশ নেয়।

দিনব্যাপি এই অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সুলতান উদ্দিন চলমান ১৬ দিনব্যাপী এই প্রচারাভিযানে নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণ ও বিভিন্নভাবে লিঙ্গভিত্তিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, 'অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের নারী শ্রমিকদের আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন ও সমস্যাগুলো একই। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাদের অধিকার রক্ষায় সবাইকে একত্রিত হবে হবে। তাদের এই ঐক্যই শ্রমআইনে অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে তাদের অধিকার নিশ্চিত করবে।'

এর আগে সকালে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মনির হোসেন অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের নারী শ্রমিকদের প্রতি নির্যাতনের বিষয়গুলো স্বীকার করে তিনি বলেন, 'শ্রম আইনে অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে নারী শ্রমিকদের নির্যাচন ও বঞ্চনা প্রতিরোধ এবং সরকারি নানান পরিষেবায় তাদের প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ খুবই জরুরি।'

আয়োজনে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের নারী শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা নিজেদের প্রতি বৈষম্য, নির্যাতনের বিষয়গুলো তুলে ধরেন এবং শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানান। বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের কাজের নির্দিষ্ট সময়সীমা না থাকা, স্বাস্থ্য সুবিধা না থাকা, ন্যুনতম মজুরির অভাব, যৌন হয়রানিসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন এসব বিষয়গুলো তুলে আসে তাদের বক্তব্যে। তারা মনে করেন, অপ্রাতিষ্ঠানিকি খাতের নারী শ্রমিক হিসেবে 'বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬'—এ অর্ন্তভুক্ত না হওয়ায় তারা শ্রমিক অধিকার, সুযোগ ও সুবিধা নিশ্চিত করতে পারছে না।

এর বাইরে দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে গৃহকর্মী ও তৈরি পোশাক খাতের নারী শ্রমিকদের মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ, পোস্টার লিখন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও ১০টি স্টল নিয়ে মেলার আয়োজন ছিল।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আশিষ দামলে, ব্রেকিং দ্য সাইলেন্সের নির্বাহী পরিচালক রোখসানা সুলতানা, ইউরোপিয়ান ডেলিগেশন ইন বাংলাদেশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক লায়লা জেসমিন প্রমুখ।

উল্লেখ্য, অক্সফ্যামের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে), কর্মজীবী নারী, বাংলাদশে নারী শ্রমিক কেন্দ্র, আশার আলো সোসাইট, রির্সাচ ইভালুয়শেন অ্যান্ড ডেভেলপমন্টে ইনিশিয়োটভ ,বাংলাদশে লেবার ফাউন্ডেশন, মুক্তি কক্সবাজার, সোসাইট,রির্সাচ ইভালুয়েশন অ্যান্ড ডেভেলপমন্টে ইনিশিয়োটভ, বাংলাদশে লেবার ফাউন্ডেশন, মুক্তি কক্সবাজার, বেশী দেশী লিমিটেড এবং সেন্টার ন্যাচারাল ।