এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম:চাকরিতে কম্বাইন্ড ডিগ্রী অগ্রাধিকার দেওয়ার বক্তব্য এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) এনিমেল হাজবেন্ড্রী ডিগ্রী বিলুপ্তির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ এনিমেল হাজবেন্ড্রী অ্যাসোসিয়েশন (বাহা)।
আজ শনিবার (৬ সেপ্টম্বর) বিকেল ৪ টায় বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এনিমেল হাজবেন্ড্রী ডিগ্রীকে স্বতন্ত্রভাবে বহাল রাখা জরুরি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম খান ডন, মহাসচিব, বাংলাদেশ এনিমেল হাজবেন্ড্রী এসোসিয়েশন (বাহা)। এ সময় প্রফেসর ড. আবুল হাশেম, সভাপতি, বাংলাদেশ এনিমেল হাজবেন্ড্রী এসোসিয়েশন (বাহা), প্রফেসর ড. রুহুল আমীন, ডীন, এনিমেল হাজবেন্ড্রী অনুষদ, বাকৃবি, মোঃ শাইফুল ইসলাম সাথী, সাংগঠনিক সম্পাদক (বাহা), কৃষিবিদ নুরু মিয়া সহ সংগঠনের অন্যান্য সমস্যরা উপস্থি ছিলেন।
বাহার নেতৃবৃন্দ জানান, সারাবিশ্বে একশটিরও বেশি দেশে এনিমেল হাজবেন্ড্রী/অ্যানিমেল সায়েন্স ডিগ্রী চালু রয়েছে। বাংলাদেশেও এ ডিগ্রির গ্রাজুয়েটরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সাথে কাজ করে আসছেন। অথচ সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা চাকরিতে ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রী’ প্রাধান্য পাবে বলে মন্তব্য করেন, যা এনিমেল হাজবেন্ড্রী পেশাজীবীদের অবদানকে অস্বীকারের শামিল।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে এনিমেল হাজবেন্ড্রী, ভেটেরিনারি ও কম্বাইন্ড—এই তিনটি ডিগ্রী বহাল রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হলেও, পবিপ্রবিতে এনিমেল হাজবেন্ড্রী ডিগ্রী বাতিল করে কেবল কম্বাইন্ড ডিগ্রী চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে উচ্চ আদালতের রায় সরাসরি লঙ্ঘিত হয়েছে।
বাহার পক্ষ থেকে জানানো হয়, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এনিমেল হাজবেন্ড্রী ও ভেটেরিনারি বিজ্ঞানের কাজ সম্পূর্ণ আলাদা। আদালত স্পষ্টভাবে এনিমেল হাজবেন্ড্রী ডিগ্রীকে স্বতন্ত্র ও অপরিহার্য হিসেবে রায় দিয়েছেন। তাই একটি বিদ্যমান ডিগ্রী বাতিল করা কেবল আদালত অবমাননাই নয়, দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের জন্য আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়ঃ
১। পবিপ্রবিতে এনিমেল হাজবেন্ড্রী ডিগ্রী কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার।
২। চাকরিতে কম্বাইন্ড ডিগ্রী অগ্রাধিকার সংক্রান্ত বিবৃতি প্রত্যাহার।
৩। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে ভেঙে ‘এনিমেল হাজবেন্ড্রী ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তর’ এবং ‘প্রাণি স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তর’ নামে দুটি নতুন অধিদপ্তর গঠন।
৪। ‘এনিমেল হাজবেন্ড্রী কাউন্সিল’ বাস্তবায়ন।
৫। এন্ট্রি লেভেলে এনিমেল হাজবেন্ড্রী গ্রাজুয়েটদের জন্য নতুন পদ সৃষ্টি।
বাহা মনে করে, সরকারের উচিত সেক্টরের বাস্তবতা বিবেচনা করে এনিমেল হাজবেন্ড্রী শিক্ষার স্বতন্ত্রতা ও পেশাগত মর্যাদা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।