রাজধানী প্রতিনিধি: প্রাণিজ আমিষের অন্যতম একটি খাত হচ্ছে মৎস্য সেক্টর। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রায় এগারোটি জেলায় আকস্মিক বন্যায় মৎস্য সেক্টরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পূরণ করা অত্যন্ত কঠিন, তবে অবশিষ্ট সম্পদ যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।
বলছিলেন, Healthcare Formulations Limited, Animal Health Division সিনিয়র প্রোডাক্ট এক্সিকিউটিভ হিসেবে কর্মরত কৃষিবিদ মাহবুবুর রহমান। তিনি বন্যা পরবর্তী সময় মৎস্য চাষীদের প্রতি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রথমত,বন্যার কারণে পুকুরগুলো ভেসে যাওয়ায় বিভিন্ন রাক্ষসী মাছ পুকুরে প্রবেশ করতে পারে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পরপরই নিয়মিত নেটিং এর মাধ্যমে এসব রাক্ষসী মাছ বের করে দিতে হবে।
দ্বিতীয়ত,বন্যা পরবর্তী সময়ে পুকুরে বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব ও মড়ক দেখা যায়। মাছকে এসব রোগ থেকে রক্ষা করতে নিয়মিত পানিতে জীবাণুনাশক ব্যবহার করা জরুরি। এটি মাছকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করবে। এ বিষয়টা মৎস্য চাষীরা অবশ্যই গুরুত্ব দিবেন।
তৃতীয়ত, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায়, পুকুরে সিলটেশন জমা হতে পারে এবং পানিতে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে পানিতে ক্ষতিকারক গ্যাসের সৃষ্টি হতে পারে, যা মাছের ব্যাপক মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই, মাছের জলাশয় পরিষ্কার ও দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে চুন ও ওয়াটার ফিল্টারিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে।
অন্যদিকে, সরকার এবং বেসরকারি পর্যায়ের মৎস্য বিশেষজ্ঞরা বন্যা পরবর্তী সময়ে মৎস্য চাষীদের সহায়তা করছেন। চাষীদের উচিত তাদের পরামর্শ গ্রহণ করা এবং সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে, মৎস্য বিশেষজ্ঞ ও প্রাইভেট কোম্পানিগুলোর দেওয়া সহায়তা গ্রহণ করেও চাষীরা ক্ষতি কিছুটা হলেও পুষিয়ে নিতে পারবেন। সর্বোপরি, আশা করি মৎস্য চাষীদের সুদিন আবার ফিরে আসবে এবং তাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠবে।