এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এর ‘ক্রপ জোনিং প্রকল্প’-এর আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), খুলনা অঞ্চলের কর্মকর্তাদের জন্য ‘খামারি’ মোবাইল অ্যাপ ও ক্রপ জোনিং সিস্টেম বিষয়ক দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ আজ সোমবার (২ জুন ) অনুষ্ঠিত হয়েছে। খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণে সভাপতিত্ব করেন প্রকল্প পরিচালক ও পিআই মোঃ হামিদুর রহমান (পরিচালক, কম্পিউটার ও জিআইএস ইউনিট)।
প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএই খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএই সরেজমিন উইংয়ের অতিরিক্ত পরিচালক (মনিটরিং ও বাস্তবায়ন) কৃষিবিদ ড. মোঃ জামাল উদ্দিন, আঞ্চলিক বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ বিভাস কুমার সাহা, খুলনা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ কৃষিবিদ কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন এবং সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার (মাইক্রো ওয়াটারসেড গভর্ণনেন্স) কৃষিবিদ ড. এস এম ফেরদৌস।
প্রশিক্ষণের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন প্রকল্পের সয়েল এক্সপার্ট কৃষিবিদ মোঃ ছাব্বির হোসেন। ‘খামারি’ মোবাইল অ্যাপের কার্যকারিতা ও ব্যবহার বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন রিমোট সেনসিং এনালিস্ট মোস্তফা আতিকুল মাজিদ। ক্রপ জোনিং সিস্টেম নিয়ে বিশদ আলোচনা ও উপস্থাপনা করেন প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ আবিদ হোসেন চৌধুরী। তাঁরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ইউনিয়নভিত্তিক ফসল উপযোগিতা, সার সুপারিশ, ফসল বিন্যাস ও মাটির গুণাগুণ ব্যাখ্যা করেন।
প্রধান অতিথি কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, খুলনা অঞ্চলের বিভিন্ন প্রদর্শনী প্লটে ‘খামারি’ অ্যাপ ব্যবহার করে সারের পরিমাণ হ্রাস এবং ফলন বৃদ্ধির সুফল পাওয়া গেছে। তিনি মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কৃষকদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রেখে অ্যাপ ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কৃষিবিদ ড. মোঃ জামাল উদ্দিন, কৃষিবিদ বিভাস কুমার সাহা, কৃষিবিদ কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম, কৃষিবিদ মোঃ নজরুল ইসলাম, কৃষিবিদ মিজান মাহমুদ, কৃষিবিদ শেখ ফজলুল হক মনি, কৃষিবিদ আকাশ বৈরাগী, কৃষিবিদ নাজমুল হুদা, কৃষিবিদ শারমিনা শামীম, কৃষিবিদ রাজিয়া সুলতানা ও কৃষিবিদ ফরহদিবা শামস।
প্রদর্শনীর ফলাফল উপস্থাপন করেন খুলনা জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ মহাদেব সানা। সভাপতির বক্তব্যে মোঃ হামিদুর রহমান জানান, ভবিষ্যতে এই অ্যাপ ব্যবহার করে ফসলের রোগ-পোকাও শনাক্ত করে প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। তিনি সবাইকে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান।
সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ ও কৃষিবিদ শুভ্রাশু শেখর দাস।