ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় কুরআনের শিক্ষা

ইসলামিক ডেস্ক: বাংলাদেশে আজ ন্যায়ভিত্তিক বিচার প্রতিষ্ঠার দাবি সর্বত্র জোরালো। সমাজে অন্যায়-অত্যাচার, মিথ্যা সাক্ষ্য, দুর্নীতি ও অবিচারের ফলে ন্যায় ও শান্তি নষ্ট হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আল্লাহর নির্দেশ আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয় যে, বিচার প্রক্রিয়ায় পক্ষপাত, স্বজনপ্রীতি বা ঘুষের কোনো স্থান নেই।

পবিত্র আল কুরআনে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন,
"তারা মিথ্যা শুনতে আগ্রহী এবং অবৈধ সম্পদের ভক্ষণকারী। সুতরাং যদি তারা হে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তোমার কাছে বিচারের জন্য আসে তবে তাদের মধ্যে বিচার করো অথবা তাদেরকে উপেক্ষা করো। আর যদি তুমি তাদেরকে উপেক্ষা করো তবে তারা তোমার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। আর যদি তুমি বিচার করো তবে তাদের মধ্যে ন্যায়ভিত্তিক বিচার করো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায়পরায়ণদের ভালবাসেন।” (সূরা আল-মায়িদা: ৪২)

এই আয়াত আমাদের জন্য এক অনন্য শিক্ষা বহন করে।

বিচারক ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা যদি আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে রায় প্রদান করেন, তবে পরিবারে শান্তি আসবে, সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং রাষ্ট্রে সুস্থ ও সুন্দর পরিবেশ গড়ে উঠবে। বিচার প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা কেবল ভুক্তভোগীর অধিকারই রক্ষা করবে না, বরং অপরাধীদের অন্যায় পথ থেকে বিরত রাখবে।

ইসলামি শিক্ষায় ন্যায় বিচারকে রাষ্ট্র ও সমাজের মূল ভিত্তি বলা হয়েছে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, “তোমরা ন্যায়বিচার করো, ন্যায়বিচার করাই তাকওয়ার নিকটবর্তী।”

সুতরাং, আমাদের সমাজে যদি ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হয়, তবে বাংলাদেশ হবে একটি সুন্দর, শান্তিপূর্ণ ও সুখী রাষ্ট্র—ইনশাআল্লাহ।

আসুন আমরা সবাই অন্যায়, ঘুষ ও পক্ষপাতিত্ব থেকে নিজেদের দূরে রাখি। আর যারা বিচারক ও দায়িত্বশীল অবস্থানে আছেন, তারা যেন আল্লাহর নির্দেশ অনুসারে সত্য, ন্যায় ও ইনসাফকে প্রাধান্য দেন।