এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: কৃষি খাতে গত ১৫ বছর ধরে চুরির তথ্য দিয়ে পরিচালনা করা হয়েছে। খাদ্য স্বয়ম্ভরতার মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে। প্রতি বছর কয়েক লাখ কোটি টাকার খাদ্য পন্য আমদানি করা হয়। উৎপাদন না থাকার কারনে দেশে পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশে ১৯৭৪ সালের মত এত বড় বিপর্যয় আর কখনো হয়নি।
আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর প্রেস ইন্সটিটিউ বাংলাদেশ (পিআইবি)' এ বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের (বিএজেএফ) সদস্যদের জন্য কৃষি সাংবাদিকতা বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম ।
কৃষি সাংবাদিকতা দেশের নিরাপত্তা স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জানিয়ে কৃষি নিয়ে কোন সরলীকরন প্রতিবেদন তৈরি না করার পরামর্শ দেন মোহাম্মদ শফিকুল আলম। কৃষি খাতের নানামূখী প্রভাব ও সঠিক তথ্য তুলে আনতে হবে। যেমন এখন কীটনাশক ও বিষের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের কারনে মেয়েদের প্রজনন স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কিনা, চিংড়ির কারনে উপকূলে কি ক্ষতি হচ্ছে সেসব বিষয় দেখতে হবে। বাজারে সিন্ডিকেট আছে সেটি ভাঙ্গা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ডিমের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। কৃষিকে টেকসই করতে কাজ করা হচ্ছে। প্রাণ প্রকৃতিকে সুরক্ষা করেই কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। দেশের সরকারী কর্মচারীরা এখনো পর্যন্ত প্বার্শবর্তী অনেক দেশের তুলনায় কম বেতন পান। এজন্য তাদের মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, দেশের মধ্যবিত্তের যে উলম্ফন সেটি ধরে রাখতে হলে কৃষকের মর্যাদা প্রতিষ্ঠতি করতে হবে। তা না হলে মধ্যবিত্তের ফুটানি থাকবে না। দেশে বাজার অর্থনীতির পরিবের্ত সিন্ডিকেটের অর্থনীতিতে দাড়িয়েছে। কৃষি খাত সহ দেশের সকল জায়গাতে অকৃত্রিম পরিসংখ্যানের ভেল্কি দেখিয়ে উন্নয়ন দেখানো হয়েছে। সেখান থেকে বের হতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএজেএফ সভাপতি ও পিআইবি পরিচালনা বোর্ডেল সদস্য গোলাম ইফতেখার মাহমুদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএজেএফ সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন।