গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে বাকৃবিতে বিক্ষোভ

বাকৃবি প্রতিনিধি: গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় তৌহিদী ছাত্র জনতার ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা অংশ নেন।

বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বারের মোড় থেকে শুরু হয়ে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তন ও ছাত্রী হলের সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করে কামাল-রণজিত (কেআর) মার্কেটে গিয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান করে। সেখান থেকে মিছিলটি সমাবর্তন চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরবর্তীতে সমাবর্তন চত্ত্বরে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, ‘নির্মম এই গণহত্যার বিরুদ্ধে বিশ্ববিবেককে জাগ্রত করতেই আমাদের এই প্রতিবাদ।’ এ সময় তারা ইসরায়েলি পণ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার ডাক দেন। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ইসরায়েল ও ভারতের পতাকা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিকৃতি আগুনে পুড়িয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, আল আকসা আমাদের, ফিলিস্তিন আমাদের। আজ থেকে আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, ইসরায়েলের কোনো পণ্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। আমাদের ভাইদের রক্তের বিনিময়ে আসা পণ্য আমরা গ্রহণ করব না।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মারুফ বিল্লাহ বলেন, আমরা ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করতে পারছি না, কিন্তু তাদের ওপর চলা এই হত্যাযজ্ঞের দায়ভার গোটা বিশ্বের। আমরা ইসরায়েলের পণ্যের তালিকা প্রকাশ করে তা বর্জনের আহ্বান জানাব, যাতে তাদের অর্থনৈতিক উৎস বন্ধ হয়ে যায়।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মো. আতিকুর রহমান বলেন, ইসরায়েলের বর্বরতায় ছিন্নভিন্ন ফিলিস্তিনি লাশ আর বাতাসে লাশের গন্ধ বিশ্ব মানবতাকে লঙ্ঘন করছে। আমাদের উচিত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি দোকানে ইসরায়েলি পণ্যের তালিকা টানিয়ে তা বর্জন করা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ফিলিস্তিন স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত যেন ইসরায়েলের পণ্য বর্জনের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। অন্যথায় আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।