"বৃদ্ধাশ্রমে মানবিকতার আলো জ্বালালো রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল"

এগ্রিলাইফ প্রতিবেদক: রাজশাহীর নওহাটার বিদিপুর এলাকায় অবস্থিত "বুড়ো-বুড়ী সেন্টার" বৃদ্ধাশ্রমে নতুন এক মানবিক অধ্যায়ের সূচনা করলো রোটারি ক্লাব অব রাজশাহী সেন্ট্রাল। আজ শুক্রবার (২৩ মে) সকালে রোটারিয়ান ড. মো. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ ও রোটারিয়ান মো. মিজানুর রহমান সেন্টারের লাইফ মেম্বার হিসেবে যুক্ত হয়ে সমাজে দায়িত্বশীলতার নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেন। এই উদ্যোগটি শুরু হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিসেস সেলিনা বেগম ও সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক লায়ন ডা. এম এ মান্নানের আমন্ত্রণে।

বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দাদের জীবনকে কেবল নিরাপদ আশ্রয়ে সীমাবদ্ধ না রেখে আনন্দ ও মর্যাদার সঙ্গে অতিবাহিত করার লক্ষ্যে রোটারি ক্লাব একগুচ্ছ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। প্রতি শুক্রবার ৮০ থেকে ৯০ জন বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যের জন্য আয়োজন করা হচ্ছে সম্প্রীতি ভোজ, যেখানে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার পরিবেশন করা হয়। এ ছাড়া, সাপ্তাহিক স্বাস্থ্য ক্যাম্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান, বই পড়ার কোণ, ব্যায়াম, গার্ডেনিং, খেলাধুলা ও ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাদের সক্রিয়তা ও আনন্দ নিশ্চিত করা হচ্ছে।

বিশেষ দিনে, যেমন জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকীতে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে উদযাপনের সুযোগ দিয়ে বৃদ্ধদের একাকিত্ব দূর করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই উদ্যোগ শুধু একটি সামাজিক সহায়তা নয়, বরং বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ ও সম্মানজনক জীবনযাপনের একটি সেতুবন্ধন।

রোটারিয়ান ড. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ বলেন, “বৃদ্ধাশ্রম মানে শুধু শেষ আশ্রয়স্থল নয়, বরং এখানে জীবনকে নতুনভাবে উপভোগ করার সুযোগ থাকে। আমাদের লক্ষ্য, এই কেন্দ্রটিকে আরও প্রাণবন্ত ও অর্থবহ করে তোলা।” তার সহকর্মী মো. মিজানুর রহমান যোগ করেন, “জীবনের শেষ পর্যায়ে যেন কেউ অবহেলিত না থাকেন, সেটি নিশ্চিত করাই আমাদের দায়িত্ব। রোটারির মূলনীতি ‘সেবা স্বার্থ’ বাস্তবায়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

বৃদ্ধাশ্রমের সভাপতি মিসেস সেলিনা বেগম সবার প্রতি আহ্বান জানান, “সমাজের প্রতিটি মানুষেরই উচিত এই উদ্যোগের অংশ হওয়া। আপনি সময়, সম্পদ বা ভালোবাসা যেভাবেই পারেন, এগিয়ে আসুন।”

এই ব্যতিক্রমী মানবিক উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সমাজে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেযেখানে বয়স নয়, বরং সম্মান ও ভালোবাসাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।