"সাক্ষী রোজা"-মুমিনের জীবনে চিরস্থায়ী প্রভাব

ইসলামিক ডেস্ক: পবিত্র মাহে রমজান চলে গেলেও একজন প্রকৃত মুমিন বান্দার জীবনে রোজার প্রভাব থাকে গভীর ও স্থায়ী। রোজা কেবল এক মাসের ইবাদত নয়; বরং তা একজন মুসলমানের জীবনে নৈতিকতা, আত্মসংযম ও আল্লাহভীতি অর্জনের এক অনন্য প্রশিক্ষণ।

ইসলামিক স্কলারদের মতে, রমজানে রোজা রাখার মাধ্যমে একজন মানুষ শুধু পেটের ক্ষুধা ও তৃষ্ণা থেকে বিরত থাকেন না, বরং মনের খারাপ চিন্তা, জিহ্বার কটু বাক্য ও দেহের অনুচিত কার্যকলাপ থেকেও বিরত থাকার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এ শিক্ষা শুধু রমজানেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং সারাবছর এই শিক্ষাকে ধারণ করাই মুমিনের গুণ।

একজন আলেম বলেন, “রোজা হলো এমন একটি ইবাদত, যা মানুষকে তার অন্তর থেকে শুরু করে বাহ্যিক আচরণ পর্যন্ত পরিবর্তন করতে সাহায্য করে। রোজা মানুষকে ধৈর্যশীল, আত্মনিয়ন্ত্রিত ও দায়িত্বশীল করে তোলে।”

রোজা রাখা যেমন একটি ফরজ ইবাদত, তেমনি এর ফজিলতও অপার। হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে, “রোজা আমার জন্য, এবং আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব।” (সহীহ বুখারী) এ হাদিসে রোজার বিশেষ মর্যাদা ফুটে উঠেছে।

রমজানের শেষে ঈদের আনন্দে ডুবে থাকলেও মুমিন বান্দারা কখনো রোজার মাহাত্ম ভুলে যান না। তারা শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা, সোম ও বৃহস্পতিবারের নফল রোজা কিংবা আয়্যাম-ই-বিদের রোজা আদায়ের মাধ্যমে রোজার আমলকে জীবনের নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করার চেষ্টা করেন।

আজ যখন আমাদের সমাজ নৈতিক অবক্ষয়ে জর্জরিত, তখন রোজার প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণ করে নিজের জীবন পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাজে এক ইতিবাচক প্রভাব ফেলা আমাদের সকলেরই দায়িত্ব। আসুন, আমরা রোজার শিক্ষাকে হৃদয়ে ধারণ করে এক উন্নত ও আলোকিত সমাজ গড়ে তুলি। মহান রাববুল আলামিন আমাদের সকলকে সদ্য ও ন্যায়ের পথে চলার তাওফিক দিন।-আমিন