ইসলামিক ডেস্ক: সারা বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমান প্রতিদিন পাঁচবার সালাতে মগ্ন হন, যা শুধু একটি ইবাদত নয় এটি জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ, আত্মার প্রশান্তি, অন্তরের আলো, ও ঈমানের দৃঢ় প্রকাশ। সালাত হচ্ছে সেই পবিত্র মাধ্যম, যার মাধ্যমে বান্দা তাঁর প্রভুর সান্নিধ্য লাভ করে। এটি শুধুই শারীরিক আনুষ্ঠানিকতা নয়; বরং একান্ত আত্মিক সংযোগ, যেখানে মানুষ তাঁর দুঃখ, চাহিদা, কৃতজ্ঞতা—সবকিছু ঢেলে দেয় করুণাময় আল্লাহর সামনে।
মহান আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বারবার স্মরণ করিয়ে দেন: "যারা সালাত প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয়, আর আখিরাতে দৃঢ় বিশ্বাস রাখে... তারাই সফল।"-(সূরা লুকমান: ৪)
একজন প্রবীণ আলেম জানান, “সালাত হলো মুমিনের পরিচয়। এটি এমন এক অনুশীলন, যা প্রতিদিন আমাদের ঈমানকে নবায়ন করে এবং আমাদের নৈতিক চরিত্র ও আত্মাকে শুদ্ধ করে।”
ইসলামিক স্কলারগণ বলছেন, সালাত মানসিক প্রশান্তির জন্য এক শক্তিশালী পন্থা। ব্যস্ততার যুগে, মানুষ যখন উদ্বেগ ও অস্থিরতায় ভোগে, তখন সালাত তাকে স্থিরতা এনে দেয়, পথ দেখায়, ও আল্লাহর প্রতি আস্থার বন্ধনে আবদ্ধ করে।
তরুণ সমাজের মাঝে আবারও সালাতের গুরুত্ব ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে বিভিন্ন ইসলামিক সংগঠন ও দাওয়াহ প্রজেক্ট। এক যুবক বলেন, “সালাত আমাকে জীবনের সঠিক দিক নির্দেশনা দিয়েছে। এটা আমার রুটিন, আমার শান্তি, আমার প্রেরণা।”
পাঁচ ওয়াক্ত সালাত কায়েম করাই প্রকৃত ঈমানদারের পরিচয়। যারা এই সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে, তারাই আখিরাতে সফলতা অর্জনের পথ ধরে চলে।
আসুন আজই সালাতকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে তৈরী করি। কারণ সালাতই সফলতার সোপান।-আমিন