
এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) সদস্য, বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির মহাসচিব এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থসংস্থান ও ব্যাংকিং বিভাগের প্রফেসর ড. এ এস এম গোলাম হাফিজ বলেছেন, কৃষি বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পাশাপাশি তা মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে দিতে হবে। তিনি বলেন,আমাদের দেশে দিন দিন কৃষি জমির পরিমাণ কমছে এ কারণে শস্যের নিবিড়তা বাড়াতে হবে।
আজ ১০ ডিসেম্বর (বুধবার) বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা), সুনামগঞ্জ এর আয়োজনে এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর(ডিএই) সিলেট অঞ্চলের সহযোগিতায় 'সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলায় বিনা উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তিসমূহের সম্প্রসারণ এবং বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে অন্তর্ভুক্তিকরণে করণীয় ' শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,এখন পর্যন্ত ২২টি ফসলের ১৩৮টি জাত আবিস্কার করেছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা)। কৃষকদের সুবিধার্থে অধিক ফলন পেতে এসব প্রযুক্তি ও জাত মাঠ পর্যায়ে আরো বেশি সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। তিনি বিনা উদ্ভাবিত এসব জাত ও প্রযুক্তি বিষয়ে বিজ্ঞানী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান।
ডিএই'র অতিরিক্ত পরিচালক ড.মো: মোশাররফ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আঞ্চলিক কর্মশালা ও কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিনা'র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো: হোসেন আলী, ডিএই'র প্রকল্প পরিচালক ড. কে এম বদরুল হক এবং বিনা'র উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের প্রধান এবং পিএসও ড. মোহাম্মদ নুরুন -নবী মজুমদার।
বিনা'র এসও মো: ফরহাদ হোসেন এর উপস্থাপনায় কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিনা'র উপকেন্দ্র, সুনামগঞ্জ এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহমুদুল হাসান মানিক এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিনা'র গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালী করণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এবং পিএসও ড.মো: মাহবুবুল আলম তরফদার।
মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, সিলেটে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী কর্মশালায় সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি), বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা),বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি),বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট( ব্রি),বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই), মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট(এস আর ডি আই), ডিএইসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, গবেষক, বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কৃষক প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, সিলেট অঞ্চলের অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনার পাশাপাশি শস্যের নিবিড়তা বাড়ানো এবং নতুন নতুন জাত ও প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের খাদ্য ঘাটতি পূরণে সকলের কার্যকরী ভূমিকা রাখতে হবে।
























