শেরপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৯৩ টি পরিবার পুনর্বাসনে ছাগলসহ সবজি চারা বিতরণ

বাকৃবি প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক ৯৩ কৃষক পরিবারের মাঝে পুনর্বাসনে সবজি চারা ও ছাগল বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত এগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের উদ্যোগে এবং স্থানীয় সংগঠন প্রশাখার সার্বিক সহযোগিতায় এই পুনর্বাসন উদ্যোগে ছাগল এবং সবজি চারা বিতরণ করা হয়। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে কৃষকদের কৃষি ও অর্থনৈতিক জীবনে দ্রুত পুনরুদ্ধার এবং উৎপাদন চালু করার লক্ষ্যে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জানা যায়, কৃষকদের পুনর্বাসনে ৯৩ টি ছাগল এবং প্রত্যেক কৃষক পরিবারকে ১ প্যাকেট বীজ এবং এক ব্যাগ করে চারা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সয়েল রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান মুকিত। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বাকৃবির কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান ও কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসনিন জাহান, উপজেলা লাইভস্টক অফিসার এটিএম ফয়জুর রাজ্জাক আজাদ, প্রশাখার সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজ, প্রশাখার বর্তমান সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজ, প্রশাখার সাবেক সভাপতি শ্রী শংকর রায়, প্রশাখার উপদেষ্টা মাসুদ হাসান। এছাড়াও বাকৃবির শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে আর্থিক সহযোগিতা করেছে বাকৃবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন অব অস্ট্রেলিয়া, কৃষিবিদ ফাউন্ডেশন ফর হিউম্যানিটি, বাকৃবি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন অব জার্মানি, আইবিএ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ৯৭-৯৮ ব্যাচ এসোসিয়েশন, বাকৃবি এবং ইউনাইটেড ফর হিউম্যানিটি, নালিতাবাড়ী। পাশাপাশি বাকৃবির শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রোটার‍্যাক্ট ক্লাব, বাকৃবি ও স্থানীয় সংগঠন প্রশাখা, ঝিনাইগাতী সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেছে।

এগ্রি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের আহবায়ক মো. আব্দুল্লাহ আল মুন্না বলেন, এগ্রি স্টুডেন্ট'স অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার মাত্র ২.৫ মাসের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় প্রায় ৮০০ জন কৃষক ধানের চারা, সার ও কীটনাশক প্রদান এবং আজ (শনিবার) শেরপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতীর ৯৩ টি পরিবারে ছাগল, সবজির বীজ ও চারা বিতরণ করেছে। আগামী ডিসেম্বরে উত্তরবঙ্গের রংপুরের লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ।

কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি তাদের এ মহৎ উদ্যোগে সাধুবাদ জানাই। কৃষকদের যেকোনো সহায়তায় বাকৃবি পরিবার পাশে থাকবে।