বিশ্ববিদ্যালয় ও হল খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা, আলোচনায় একমত হতে পারেনি প্রশাসন ও আন্দোলনকারীরা

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃ‌বি) কম্বাইন্ড (বিএসসি ইন ভেট ও এএইচ) ডিগ্রির আন্দোলনকারীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার পর বিশ্ব‌বিদ‌্যাল‌য়ের শিক্ষক সমিতি অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে। এছাড়া ওই দিন রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধ এবং হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী প্রশাসনের হল ত্যাগের নির্দেশ অমান্য করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল এবং একাডেমিক কার্যক্রম চালুর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা দ্বিতীয় বা‌রের ম‌তো আলোচনা ব‌সেন। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবি নিয়েও আলোচনা হয় এবং গত মঙ্গলবার আলোচনায় যেসব বিষয় উত্থাপিত হয়েছিল সেগুলো লিখিত আকারে জমা দেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের বলা হয়। যাতে পরবর্তী সিন্ডিকেট সভা সেই লিখিত প্রস্তাবনার ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হতে পারে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা লিখিত প্রস্তাবনা দিতে রাজি না হওয়ায় পরবর্তী সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম চালু এবং হল ত্যাগের নির্দেশ প্রত্যাহার হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. সোনিয়া সেহেলী, অধ্যাপক ড. কাজী ফরহাদ কাদির, ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. জোয়ার্দ্দার ফারুক আহমেদ, ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন এবং ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের ১৫ জন শিক্ষার্থী প্রতিনিধি।

আ‌লোচনায় অংশগ্রহনকারী পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেন সিয়াম জানান, “বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান বিষয়গুলো নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে দুই ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে। তবে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি। কারণ এখানে সব আন্দোলনকারী উপস্থিত ছিলেন না। আমরা জানিয়েছি, সবার সঙ্গে আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত জানাবো। শিক্ষকরা আমাদের কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছেন, কিন্তু সেগুলোর বিষয়ে আমাদের কিছু দ্বিমত রয়েছে। আমরা এখনও ৬ দফা দাবিতে অনড় এবং প্রস্তাবনার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি।”

ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক জানান ,“শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম চালু এবং হল খোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া দ্রুত পরবর্তী সিন্ডিকেট সভা আয়োজনের বিষয়ে আমরা কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। যেহেতু আলোচনার পথ খোলা আছে, শিক্ষার্থীরা আমাদের প্রস্তাবনার বিষয়ে মতামত জানালে উপাচার্যকে বিষয়টি অবহিত করা হবে। এরপর দ্রুততম সময়ের মধ্যে সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করার বিষয়ে উপাচার্য সিদ্ধান্ত নেবেন।”