সমীরণ বিশ্বাস:আম গাছে কচি পাতাকাটা উইভিল পোকা (Mango Leaf Cutting Weevil) একটি মারাত্মক ক্ষতিকর পোকা, যা বিশেষ করে গাছের কচি পাতা, কলি ও নতুন ডগা কেটে খায়। এরা মূলত গাছের বৃদ্ধি ব্যাহত করে এবং ফলন কমিয়ে দেয়। উইভিল পোকার আক্রমণে পাতা কেটে টুকরো টুকরো হয়ে ঝরে যায়, ফলে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং নতুন ডালপালা সঠিকভাবে গজাতে পারে না। এই পোকা সাধারণত বসন্ত ও বর্ষাকালে বেশি সক্রিয় থাকে, যখন গাছে নতুন পাতা বের হয়। এদের স্ত্রী পোকা পাতার মধ্যে ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে শূককীট বের হয়ে গাছের কোষ নষ্ট করে। দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাবে আম গাছের উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়। তাই সময়মতো প্রতিরোধ ও দমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি । এই পোকার প্রতিকারের জন্য গাছের নিচে পড়ে থাকা ক্ষতিগ্রস্ত পাতা অপসারণ করা, নতুন পাতা বের হলে সেগুলোতে কীটনাশক স্প্রে করা এবং গাছের গোড়ায় আঠালো বেস্টনি তৈরি করে পোকা গাছে ওঠা বন্ধ করা যেতে পারে।

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিএএস-ইউএসডিএ এন্ডাওমেন্ট প্রোগ্রামের ষষ্ঠ ধাপের উদ্বোধনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ভূমিকা:
প্রতি বছর ঈদুল আজহায় আনন্দের সাথে কোরবানি শেষে হাজার কোটি টাকার চামড়া রাতারাতি মূল্যহীন হয়ে পড়ে। গরীব-মধ্যবিত্ত কৃষক ও সাধারণ মানুষ তাদের পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। এই ধস নামা বাজারের পেছনে শক্তিশালী চামড়া সিন্ডিকেটের একচ্ছত্র আধিপত্য কারসাজি প্রধান কারণ। এই দুষ্টচক্র ভাঙতে হলে সৎ সামাজিক দায়িত্বশীল উদ্যোক্তা তৈরির কোনো বিকল্প নেই। আর এই লক্ষ্য অর্জনে দেশের বিপুল সংখ্যক মাদ্রাসা ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হতে পারে এক যুগান্তকারী মডেল, কেননা কোরবানির চামড়া সংগ্রহ ও বিক্রয় ইতিমধ্যেই অনেক মাদ্রাসার আয়ের অন্যতম উৎস।

সমীরণ বিশ্বাস: কৃষি উৎপাদনে কীটপতঙ্গ, রোগজীবাণু, আগাছা ও ইঁদুরসহ নানা রকম ক্ষতিকর জীব বা উপদ্রবকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে সকল রাসায়নিক, জৈবিক বা প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হয়, তাকে কীটনাশক বা বালাইনাশক বলা হয়। কৃষিক্ষেত্রে ফসলের উৎপাদন ও গুণগত মান ধরে রাখতে এগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উৎপত্তি ও ব্যবহার: প্রাচীনকাল থেকেই কৃষকরা ছাই, নিমপাতা, বিভিন্ন ভেষজ পদার্থ ও জৈব উপাদান ব্যবহার করে পোকামাকড় দমন করতেন। শিল্পবিপ্লবের পর রাসায়নিক কীটনাশকের আবির্ভাব ঘটে এবং ২০শ শতকের মাঝামাঝি সময়ে এর ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়।

ড. হারুনুর রশীদ, ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান, ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক, ড. মোঃ জসিম উদ্দিন, ড. জোয়ার্দ্দার ফারুক আহমেদ
ভূমিকাঃ এবছর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের নদ-নদীর খসড়া তালিকা-২০২৫’ অনুযায়ী দেশের নদ-নদীর সংখ্যা ১২৯৪টি। তিব্বত, হিমালয়, মেঘালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড় থেকে উৎসরিত ও অধিকাংশ ক্ষেত্রে উত্তর থেকে দক্ষিণের বঙ্গোপসাগরের দিকে ধেয়ে চলা এসব নদী তার গতিপথে অসংখ্য অভ্যন্তরীণ জলাশয় তৈরি করেছে ও তাতে পাণ-প্রবাহ সৃষ্টি করেছে। ফলে এসব নদীর গতিপথের দু’পাড় জুড়ে রয়েছে অসংখ্য হাওর-বাওড়, বিল-ঝিল ও প্লাবনভূমি। এসব জলাধার মৎস্য সম্পদের এক অফুরন্ত ভাণ্ডার; সেইসাথে বাংলার প্রাণবৈচিত্র্য ও অর্থনীতির মেরুদণ্ড। কিন্তু সাম্প্রতিক দশকগুলোতে অভ্যন্তরীণ জলাশয়গুলোর মৎস্য জীববৈচিত্র্য এক ভয়াবহ সংকটের মুখোমুখি হয়েছে।

 
প্রফেসর ড. এস এম রেজাউল করিম: গত দুই দশকে বাংলাদেশ দারিদ্র্য হ্রাসে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে। ২০০০ সালের পর থেকে ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি খাতের বিস্তার, এবং সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচীর ফলে কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্যের বাইরে এসেছে। কিন্তু ২০২২ সালের পর থেকে একাধিক অর্থনৈতিক ও সামাজিক চাপ, বিশেষত উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং কর্মসংস্থানের ধীরগতি আবারও দারিদ্র্যের হার বাড়িয়ে তুলেছে। নতুন পরিসংখ্যান ও পূর্বাভাসগুলো দেখাচ্ছে যে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে সাম্প্রতিক অগ্রগতি হুমকির মুখে পড়তে পারে।