ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন: আজ ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব বেতার দিবস। বিশ্বে অন্যান্য দেশের মতো আজ বাংলাদেশেও বিশ্ব বেতার দিবসটি পালিত হবে যথাযথ মর্যাদার সাথে। বাংলাদেশ বেতার এ উপলক্ষে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এছাড়া বেতারের বিভিন্ন প্রান্তের শ্রোতা ক্লাবও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনের নানান উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। বেতার বর্তমান বিশ্বের যোগাযোগের একটি নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। সমাজ উন্নয়ন, দুর্যোগ, শিক্ষা, সংবাদ ও বিনোদনের বিশেষ বাহন হিসেবে কাজ করছে বেতার।

সমীরণ বিশ্বাস| দেশে গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আমন মৌসুমে ধানের ফলন হয়েছিল ১ কোটি ৬৬ লাখ টনের বেশি। আমনে চলতি অর্থবছরে ১ কোটি ৬৮ লাখ টন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)। কিন্তু বন্যার প্রভাবে ২০২৪ সালের আগস্ট ও অক্টোবর মাসে ভারী বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি বৃদ্ধির অনাকাঙ্ক্ষিতো বন্যার কারণে দেশে প্রায় ১১ লক্ষ মেট্রিক টন ধান নষ্ট হয়ে যায়। তবে সাম্প্রতিক দুটি বন্যা এবার আমনের উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে। তাই ধানের ফলন গতবারের তুলনায় কমে ১ কোটি ৪০ লাখ টনে নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ)। এতে করে সরকার ৫ লক্ষ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফসল উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ছোলায়মান আলী ফকির বলেছেন, আমার গবেষণা জীবনে প্রায় এক ডজন বিভিন্ন প্রকারের ফসল নিয়ে কাজ করেছি। দেশের মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছা থেকেই আমার গবেষণাগুলো করা হয়েছে। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার বিকল্প ও সস্তা মাধ্যমে হিসেবে অপ্রচলিত সবজির উন্নয়নে কাজ করছি।

বাকৃবি প্রতিনিধি-স্যাভয় ক্যাবেজ বাংলাদেশে একদম নতুন একটি শীতকালীন সবজি। এটি বাঁধাকপির একটি জাত, যার বিশেষ গুণ হলো এটি খুব মচমচে ও ভিন্ন ধরনের। সাধারণ বাঁধাকপি যেমন পরিপক্ক হলে শক্ত হয় কিন্তু স্যাভয় ক্যাবেজের পাতাগুলো মচমচে হওয়ায় রান্না করে খাওয়ার পাশাপাশি কাঁচা অবস্থায় ও স্যুপ করে খেলেও অত্যন্ত সুস্বাদু লাগে। বিভিন্ন ফাস্ট ফুড, যেমন বার্গার, স্যান্ডউইচ ইত্যাদির সঙ্গে খাওয়া যায়। এছাড়া এর চাষাবাদ, পুষ্টি গুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছেন উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ।

বাকৃবি প্রতিনিধিঃ বেগুনি ফুলকপির পুষ্টিগুণ, ফলন ও চাষাবাদ নিয়ে গবেষণায় সাফল্য দেখিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হারুন অর রশিদ।

বাকৃবি প্রতিনিধি: দেশের বিভিন্ন কর্মশালায় কৃত্রিম সারের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে আলোচনা হলেও এর ব্যবহার কমেনি। বরং বহুগুণে বেড়েছে। ফলে মাটির মৌলিক গঠনের পরিবর্তন হচ্ছে। এতে ফলনও কমে যাচ্ছে। শেরপুর জেলার কৃষক কালাম আক্ষেপ করে জানান, "পাঁচ বছর আগে যে ফলন পেতাম, এখন তার দুই-তৃতীয়াংশ পাই। কৃত্রিম সার না দিলে উৎপাদনই হয় না। বাজারে সারের দাম বেশি, কিন্তু ফসলের দাম কম। প্রতি বছর লোকসান গুনতে হয়।"