বাকৃবি প্রতিনিধি:বাংলাদেশে ব্রয়লার খামারিদের জন্য তীব্র গরমের মৌসুম একটি বড় চ্যালেঞ্জ। উচ্চ তাপমাত্রা (সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি) যখন দীর্ঘসময় ধরে থাকে, তখন মুরগির শরীরের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়। এসময় ব্রয়লারের খাবার গ্রহণের পরিমাণ কমে যায়, ফলে ওজন বৃদ্ধি ধীর হয়ে যায়। এছাড়া বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট, কোষ নষ্ট হওয়া এমনকি মৃত্যুহারও বেড়ে যায়। ফলশ্রুতিতে ব্রয়লারের উৎপাদন কমে যায়, যার প্রভাব পড়ে পুরো পোলট্রি শিল্পের ওপর।

রোটারিয়ান ড. মো. হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ:প্রাণিসম্পদ খাত দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষ করে বাংলাদেশের অর্থনীতি, খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রামীণ জীবিকায় একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, প্রাণিজ আমিষের চাহিদা বৃদ্ধি, প্রাণিজ রোগের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় প্রয়োজন দক্ষ ও বহুমুখী পেশাদারদের। এই প্রেক্ষাপটে, ডক্টর অফ ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) এবং এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি (এএইচ) এর সমন্বয়ে গড়ে উঠা ডিগ্রি প্রোগ্রামগুলো বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি অত্যন্ত উপযোগী ও সম্ভাবনাময় মডেল হতে পারে, যার যৌক্তিকতা বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত।

ড. এম আব্দুল মোমিন: কৃষি একটি শ্রমঘন পেশা। এ কারণে বাংলাদেশের কৃষি নির্ভর পরিবারগুলো ক্রমশ কৃষি ছেড়ে ভিন্ন পেশা বেছে নেয়ার চেষ্টা করতো। কৃষকের ছেলে কৃষক হতে চাইতো না। চাকুরি বা ব্যবসাসহ ভিন্ন পেশায় মনোনিবেশ করতো। কৃষকও নিজেও চাইতেন না নিজের সন্তানকে কৃষি পেশায় নিয়ে আসতে। অনেক ক্ষেত্রে পেশা হিসেবে কৃষির সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা ও কম সম্মানের বিষয়টি বিবেচ্য ছিল। কিন্তু দিন বদলের পালায় সেই গ্রহণযোগ্যতা ক্রমশ বাড়ছে। কেননা কৃষি এখন প্রযুক্তিবান্ধব ও আগের যে কোন সময়ের তুলনায় অধিক লাভজনক পেশা। কৃষিই সমৃদ্ধি এটা আবারো আমাদের সচেতন সমাজ উপলদ্ধি করছেন। এটা ঠিক যে বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ, যেখানে জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির উপর নির্ভরশীল। এক সময় কৃষি ছিল মূলত খোরপোষের চাহিদা মেটানোর মাধ্যম। কৃষকরা নিজ পরিবারের খাদ্যসংস্থান নিশ্চিত করতেই কৃষিকাজ করতেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই চিত্র বদলে গেছে। এখন কৃষি শুধু পেটের দায় নয়, এটি হয়ে উঠেছে মুনাফাভিত্তিক ও বাজারমুখী বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড।

সমীরণ বিশ্বাস: বাংলাদেশ একটি কৃষিনির্ভর দেশ। দেশের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান এবং খাদ্য নিরাপত্তার বড় অংশই কৃষির ওপর নির্ভরশীল। অথচ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও দেশে পর্যাপ্ত কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠান, আধুনিক রাইসমিল, হিমাগার এবং প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে ওঠেনি। এর ফলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং কৃষি খাতের সম্ভাবনা পূর্ণভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না।

Chinmay Prasun Biswas:Fishery and poultry, two important associate sectors of agriculture, play important roles in economy of Bangladesh. To encourage these sectors income earned from fish farming was fully exempted from tax during 1980 to 1990 provided that capital investment must not be less than Tk. 10,000/- (SRO 317/1980). Condition of investing 10% of income (if income exceeds Tk. 1,00,000/-) in government securities was imposed later on (SROs 127/2000 and 168/2001).). Tax at reduced rate (zero tax upto Tk. 10,00,000/-, 5% on next Tk. 10,00,000/-, 10% on balance) was imposed in 2015 (SRO 255/2015). This rate was amended in SROs 171/2021 and 157/2022 (zero tax upto Tk. 10,00,000/-, 5% on next Tk. 10,00,000/-, 10% on next Tk. 10,00,000/- and 15% on balance) on income earned from fish-farming and poultry farming. This rate prevailed upto assessment year 2024-25 (income year 2023-24).

বাকৃবি প্রতিনিধি-বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন বাড়লেও বালাইনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিপদে পড়েছে। বিষাক্ত এসব বালাইনাশক মানব স্বাস্থ্য, মাটি, পানি ও পরিবেশের ক্ষতি করছে। দেশে বালাইনাশকের মধ্যে ছত্রাকনাশকের ব্যবহার সর্বাধিক ৪৫-৪৬ শতাংশ, এরপর কীটনাশক ৩৩ শতাংশ এবং আগাছানাশক ২০-২১ শতাংশ। এগুলোর বেশির ভাগই মাটি, পানি ও বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। এই সমস্যা সমাধানে দেশে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তি ও অনুজীব দিয়ে ফসলের উৎপাদন বর্ধক ও পরিবেশবান্ধব ছত্রাকনাশক উদ্ভাবনের দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষক।