রাজধানী প্রতিবেদক: কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় এআইপি সম্মাননা পদক পেয়েছেন এসিআই এগ্রিবিজনেস-এর প্রেসিডেন্ট ড. এ.কে.এম. ফারায়েজুল হক আনসারী। এআইপি সম্মাননা তাঁকে আরো উৎসাহিত করবে এবং কৃষির চলমান অগ্রযাত্রাকে আরো বেগবান করবে অনুভূতি ব্যক্ত করেন তিনি।
আজ রবিবার ( ৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুস শহীদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর হাতে এ সম্মাননা প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মলয় চৌধুরী।
এগ্রিলাইফের এ প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে ড. এফ এইচ আনসারী বলেন "যেহেতু বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের সাথে যুক্ত তাই কৃষকদের সমৃদ্ধশালী করা দরকার এবং কৃষকদের সমৃদ্ধশালী করার জন্য "আমি প্রথম থেকে কাজ করছি"। কৃষকদের সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন উন্নত প্রযুক্তি এবং উন্নত প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার,কৃষকের যে যে প্রযুক্তি প্রয়োজন আমরা সবই দিচ্ছি এতে কৃষক সমৃদ্ধশালী হচ্ছে। আমরা মনে করি ২০৩০ সালের মধ্যে এদেশের ৪০ শতাংশ কৃষক যদি সমৃদ্ধশালী হয়ে যায় তাহলে আমাদের যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আছে এবং যে মিশন আছে সেটা সার্থক হবে। এই আশা নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং আমরা আরো নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসবো কৃষকদের জন্য।
তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষকদের যে যন্ত্র দিচ্ছি সে যন্ত্রতে জিপিএস লাগানো আছে ফলে একজন কৃষক জানতে পারে তার জমিতে কতটুকু ধান হয়েছে এবং কতটুকু জমির ধান তিনি কেটেছন, যন্ত্রের মালিক দূর থেকেই মোবাইলের মাধ্যমে এসব দেখতে পারেন। এছাড়াও এ যন্ত্র মাঝপথে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হলে তিনি দূর থেকেই এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আমরা এই যন্ত্রে নতুন সেন্সর সংযোজন করেছি এবং বলতে এই ব্যবহার করলে দুই বছরের মধ্যে এই যন্ত্রের দাম উঠে আসবে, যেখানে অন্যান্য কোম্পানির যন্ত্রের ক্ষেত্রে ৪ থেকে ৫ বছর লাগে। সর্বশেষ বলতে গেলে এই যন্ত্রের মাধ্যমে কৃষক লাভবান হবে।
উল্লেখ্য, কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০১৯ সালে কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। তার আলোকে প্রথমবার ২০২০ সাল থেকে দেয়া হচ্ছে এ সম্মাননা। ২০২০ সালে এআইপি পেয়েছিলেন ১৩জন। এআইপি সম্মাননা প্রাপ্তগণ সিআইপিদের মতো সুযোগসুবিধা পেয়ে থাকেন।