বাকৃবি প্রতিনিধি: সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে দ্বিতীয় দিনেও চলমান ট্রেন থামিয়ে আন্দোলন করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ১ টায় দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আব্দুল জব্বার মোড়ে অবস্থিত রেললাইনে চলমান জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেন আটকে দিয়ে রেললাইন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ২ ঘন্টা অবরোধ করে রাখার পরে ৩টা ১০ এ ট্রেন চলাচল সচল করা হয়।
বিভিন্ন হল থেকে মুক্তমঞ্চে এসে সমবেত হন শিক্ষার্থীরা। এসময় চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার রায়ের শুনানি মুলতবি হওয়ার বিষয়টি সকলের সামনে আসলে দুর্বার আন্দোলনে যোগ দেন বাকৃবির শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার আবারও বিশ^বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ আব্দুল জব্বার মোড়ে অবস্থিত রেললাইনে চলমান ট্রেন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা বাতিলের দাবিতে বেলা ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি কে. আর. মার্কেট পর্যন্ত যায়। পরে মুক্তমঞ্চের সামনে দিয়ে এসে আব্দুল জব্বার মোড়ের দিকে যায়। ওই সময় ঢাকা থেকে জামালপুরগামী জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আব্দুল জব্বার মোড় সংলগ্ন রেললাইনে আসতে থাকলে ওই চলমান ট্রেন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী প্রণব ঘোষ বলেন, রায়ের শুনানি মুলতবি করা মানে হলো শিক্ষার্থীদের চোখে ধুলা দেওয়া। আমরা কোনোপ্রকার ধোঁয়াশার মধ্যে থাকতে চাই না। কোটা বাতিলের আন্দোলন চলছে এবং কোটা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
আন্দোলনকারী এক মুক্তিযোদ্ধার নাতী ও ভেটেরিনারি অনুষদের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিব বলেন, 'আমার দাদা মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হওয়ার পরেও আমি চাই যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল হোক। এই কোটার কারণে মেধাবীদের প্রতি অবিচার করা হোক দেশের বীরের নাতী হয়ে এটি আমি চাই না। কোটা থাকার কারণেই বরং নানা কটুক্তির শিকার হয়েছি। এর মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের রীতিমতো অবমাননা করা হয়।