ডিম: প্রকৃতির পরিপূর্ণ খাবার, বিশ্ব ডিম দিবসে সুস্থ জাতি গঠনের প্রতিশ্রুতি

রাজধানী প্রতিনিধি: আজ শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও উদযাপিত হলো ‘বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৫’। দিবসটির গুরুত্ব অনুধাবন করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) যৌথভাবে জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচির আয়োজন করে।

ডিমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি এবং দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ডিম অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানাতেই এই দিবসটি উদযাপন করা হয়। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে ডিম একটি সহজলভ্য, সাশ্রয়ী ও সম্পূর্ণ পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এতে রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ ও প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা শিশু থেকে প্রবীণ—সব বয়সের মানুষের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অপরিহার্য।

দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিপিআইসিসি সভাপতি জনাব মসিউর রহমান এবং প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু সুফিয়ান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডাঃ মোঃ বয়জার রহমান, পরিচালক (প্রশাসন), প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মোঃ ইলিয়াস হোসেন ও প্রফেসর ড. মোঃ মাহমুদুল হাসান শিকদার, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আলোচনায় অংশ নেন ড. এ বি এম খালেদুজ্জামান, ডা. মোঃ সফিউল আহাদ সরদার এবং পুষ্টিবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ মহুয়া।

বক্তারা বলেন, ডিম হচ্ছে “প্রকৃতির পরিপূর্ণ খাবার” যা শরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণে অনন্য ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন অন্তত একটি ডিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের মানুষ হবে পুষ্টিতে স্বনির্ভর এবং গড়ে উঠবে সুস্থ, সবল ও মেধাবী প্রজন্ম।

ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কৃষিবিদ মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক, ওয়াপসা-বিবি। দিবসটির মাধ্যমে “ডিমে আছে প্রোটিন খেতে হবে প্রতিদিন” এই শ্লোগানে সবাইকে ডিম খাওয়ার অভ্যাসে উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়।