হাওর এলাকার খামারিদের মধ্যে হাঁস পালনের সচেতনতার বাড়াতে হবে

এগ্রিলাইফ প্রতিনিধি: আজমিরীগঞ্জ ও আশপাশের হাওর অঞ্চলে প্রচুর হাঁসের খামার রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার হাঁস ও ডিম দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হচ্ছে। খামারিরা জানান, হাঁস পালনে তুলনামূলক কম খরচে ভালো লাভ হয়। পুঁজি বাড়ালে লাভের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়। তবে অনেক খামারি জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত পুঁজি, কারিগরি জ্ঞান ও সচেতনতার অভাবে বড় পরিসরে খামার পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়ে।

এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা ও খামারীদের করনীয় নিয়ে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পাহাড়পুরে আজ মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) এজি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের আয়োজনে হাঁস খামারিদের নিয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় প্রায় ৪০ জন খামারি অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডা. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, টেকনিক্যাল হেড, এজি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড; কৃষিবিদ ভবেশ চন্দ্র রায় এবং কৃষিবিদ প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আরএসএম-হবিগঞ্জ রিজিয়ন এবং সেলস অফিসার মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন (হবিগঞ্জ-১)।

ডা. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, “হাওর এলাকার খামারিদের মধ্যে হাঁস পালনের আগ্রহ অনেক, কিন্তু সচেতনতার অভাব রয়েছে। আমরা মাঠপর্যায়ে তাদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে আরও দক্ষ করে তুলতে কাজ করছি।”

তিনি আরও বলেন, “একজন খামারির সাফল্য অন্যদের অনুপ্রাণিত করছে। আমরা চাই, দেশের হাঁস উৎপাদন ব্যবস্থায় আধুনিক প্রযুক্তি ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি পৌঁছে দিতে।”

বাংলাদেশের হাওরাঞ্চলে হাঁস পালন এখন একটি সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে গড়ে উঠছে। সঠিক দিকনির্দেশনা ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পেলে এ অঞ্চলের খামারিরা জাতীয় পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবেন এমন প্রত্যাশাই ব্যক্ত করেছেন এজি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের কর্মকর্তারা।