ইসলামিকে ডেস্ক:মানবজীবনের প্রকৃত সাফল্য কেবল ইহকালীন অর্জনে সীমাবদ্ধ নয়; বরং পরকালের মঙ্গলই প্রকৃত সাফল্যের প্রতীক। আল্লাহ তায়ালা মানুষকে বারবার স্মরণ করিয়ে দেন, অতীতের জাতিগুলোর পরিণতি থেকে শিক্ষা নিতে। যারা আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করেছে, তারা ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে। আর যারা খোদাভীতি ও সৎকর্মে জীবন পরিচালনা করেছে, তাদের জন্য পরকালে রয়েছে চিরস্থায়ী শান্তির আবাস।
পবিত্র কোরআনে মহান রব বলেন, অবিশ্বাসীরা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করেনি এবং দেখেনি যে তাদের পূর্বে যারা ছিল তাদের পরিণতি কিরূপ হয়েছে? আর যারা ভয় ও মান্য করে এবং সৎ কাজ করে তাদের জন্য পরকালের আবাসই উত্তম। তবু কি তোমরা বোঝ না? — সূরা ইউসুফ, আয়াত ১০৯
আজকের সমাজে শয়তানের ধোঁকা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষকে পাপ ও অন্যায়ের পথে টেনে নেওয়া তার প্রধান অস্ত্র। কিন্তু ইসলামের নির্দেশনা মেনে চললে, আল্লাহর ভয় হৃদয়ে ধারণ করলে, শয়তানের প্রতারণা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সৎ কাজ, ন্যায়পরায়ণতা ও মানবতার সেবাই পারে মানুষকে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে এগিয়ে নিতে।
আসুন, আমরা সবাই পারলৌকিক কল্যাণের আশায় ইহকালে সৎকাজে মনোনিবেশ করি। পরকালের স্থায়ী আবাস জান্নাত অর্জনের জন্য দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী মোহে না পড়ে আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলি।
মহান রাব্বুল আলামিন যেন আমাদের সবাইকে বিতাড়িত শয়তানের প্ররোচনা থেকে রক্ষা করেন এবং খোদাভীতির আলোয় আলোকিত জীবনযাপনের তাওফিক দান করেন। নিশ্চয়ই তিনিই সমগ্র সৃষ্টির রক্ষক, পালনকর্তা ও সর্বশক্তিমান।-আমিন