এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: প্রথম বারের মতো সিলেটে বিটরুট চাষ সম্প্রসারণ শীর্ষক ফসল প্রদর্শনীর উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)-এর কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের "Up-scaling of Beetroot (Beta vulgaris) Through Integrated Nutrient Management" শীর্ষক প্রকল্পের অর্থায়নে বিটরুট ফসলের চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ মাঠ দিবসেরে আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ৪নং খাদিম পাড়া ইউনিয়নের খুনির চকে কৃষক পর্যায়ে বিটরুট ফসলের ফিল্ডট্রায়ালের ফসলের প্রদর্শনীর উপর মাঠ দিবসে বক্তব্য রাখেন উক্ত প্রকল্পের পরিচালক ও সিকৃবি’র কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সামিউল আহসান তালুকদার।
তিনি বলেন, সিলেটে বিটরুট চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। স্বল্পমেয়াদি এই ফসল রোপণের প্রায় ৬৫-৭০ দিন পর থেকে বাজারজাত করা যায়। বিটরুটের চাষাবাদ খরচ কম বলে বিঘা প্রতি প্রায় ৬০-৭০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। তিনি আরও জানান, লাল রঙের বিটালেইন এন্টিঅক্সিডেন্টের কারনে স্বাস্থের উপর ইতিবাচক প্রভাবের জন্য বিটরুট বিশ্বব্যাপী সুপার ফুড হিসেবে পরিচিত। এটি হৃদরোগ, ক্যান্সার, ডায়াবেটিকস, বক্ষব্যাধীসহ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধী প্রতিরোধে কার্যকরি। বিট সালাদ, সবজি, জুস হিসেবে খাওয়া যায়। তিনি বিটরুট চাষ সম্প্রসারণে এগিয়ে আসার জন্য উদ্যোক্তাদের আহবান জানান।
কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের পিএইচডি শিক্ষার্থী মো: আবু সাইদ রবি’র সঞ্চালনায় বিটরুট ফসলের পুষ্টিগুন, উৎপাদন কলাকৌশল ও লাভ বিষয়ে এর গুণাগুণ ব্যক্ত করেন গবেষকরা। প্রকল্পের গবেষণা সহকারি রাফিয়া ইসলাম তিশা ও আকরাম হোসেন বিটরুট ফসল অংশগ্রহণকারীদের প্রদর্শন করেন।
মাঠ দিবসে বিটরুট ফসল সম্পর্কে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন কৃষি উদ্যোক্তা বাবুল আহমেদ, সাবেক মেম্বার জাকেল আহমেদ, শামছুল ইসলাম, রুহুল আমিন, তসলিম উদ্দিন, ইসলাম উদ্দিন, সেলিম আহমদ, ফারুক আহমদ ভুইয়া, তামিম আহম্মদ, নজরুল ইসলাম প্রমুখ। অংশগ্রহনকারীরা সিলেট অঞ্চলের নতুন ফসল বিটরুট চাষের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং লাভজনক বলে আগামীতে বিটরুট চাষের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মাঠ দিবসে প্রায় চল্লিশজন কৃষক অংশগগ্রহণ করেন।