রাজধানী প্রতিনিধি: আমাদের দেশে পোলট্রি, ডেইরি, মৎস্য সহ সকল খামারীদের আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা, খাদ্য ও প্রাণিজ আমিষ সরবরাহে ব্যাপক অবদান রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে আকস্মিক বন্যায় ফেনী, কুমিল্লা এবং সিলেট সংলগ্ন এলাকায় কোন কোন খামারী বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছে। আর যেসকল খামারীরা টিকে আছে তারাও খুব কষ্ট করে পুনর্গঠিত হওয়ার চেষ্টা করছেন। মানুষের পাশাপাশি প্রাণী সম্পদের পুনর্বাসন করার জন্য বাস্তবমুখী পদক্ষেপ এখনই নিতে হবে।
এ সকল এলাকার খামারীদেরকে সচেতনতা সৃষ্টি করতে, পাশাপাশি খামারিদের পাশে না দাঁড়াতে পারলে আমাদের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটানোর যে ঝুঁকি রয়েছে, তার অনেকটাই আরো বেড়ে যাবে। এসব বিষয়ে এগ্রিলাইফের সাথে কথা বলেছেন Healthcare Formulations Limited-এর হেড অব মার্কেটিং ডা: মো: নিজাম উদ্দিন আখন্দ (রনি)।
তিনি বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশে বিশেষ করে ১১টি জেলা বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে ফেনী, কুমিল্লা, সিলেট, নোয়াখালীর একাংশ এবং সুনামগঞ্জ উল্লেখযোগ্য। এই এলাকাগুলোতে, শুধু যে মানুষের প্রাণহানি হয়েছে তা নয়। আমিষের যোগানদাতা পোল্ট্রি ও গবাদিপশুর খামারগুলি নি:শেষ হয়েছে, বিশেষ করে পোল্ট্রির ফার্মগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।
আমরা আশা করছি যে, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহযোগিতার পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরে আমরা যারা কর্মরত রয়েছি, সকলের সার্বিক সহযোগিতায় খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে বন্যা কবলিত জেলাগুলোর খামারিদেরকে একত্রিত করা এবং তাদেরকে দিয়ে আবারও ফার্ম করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে। গরু-ছাগল এবং হাঁস মুরগি পালনের জন্য তাদেরকে সরকারি এবং বিভিন্ন এনজিও এর মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা দিয়ে আবারও পশু-পাখি পালনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। এক্ষেত্রে একদিন বয়সী মুরগীর বাচ্চা উৎপাদনকারী, ফিড উৎপাদনকারী ও এনিমেল হেলথ্ ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোর সময়োপযোগী ভূমিকা পালন করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।