মোঃ গোলাম আরিফঃ আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণের আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ শীর্ষক ০২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ বিকাল ৪ টায় উপপরিচালকের কার্যালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনা’র প্রশিক্ষণ হলে এ প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বগুড়া অঞ্চল, বগুড়া'র অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সরকার শফি উদ্দীন আহমদ।
এসময় তিনি বলেন, কৃষির উৎপাদন বাড়াতে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণের বিকল্প নেই। অত্র প্রকল্প ২৮ টি আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। প্রযুক্তিগুলো সম্প্রসারণে রাজশাহী বিভাগের কৃষিতে ব্যাপক সাফল্য এসেছে। বিশেষ করে পলি মালচের মাধ্যমে উচ্চমূল্যের ফসল চাষ করে কৃষকরা অর্থিকভাবে অনেক লাভবান হয়েছে। প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধম্যেই অসময়ে বিভিন্ন জাতের সুমিষ্ট আম, তরমুজসহ উচ্চমূল্যের অন্যান্য ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে স্মরণকালের বন্যার আমাদের অঞ্চলে আমন ধান, সবজিসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। মূল জমিতে দানাদার ফসল চাষ করে বাড়ির উঠানসহ আশপাশের পতিত জায়গা এমনকি বাড়ির ছাদে সবজির চাষ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষিবিদ ড. মোঃ জামাল উদ্দীন, উপপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনা। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পাবনা’র জেলা প্রশিক্ষল অফিসার, কৃষিবিদ মোঃ সাইফুল ইসলাম; অতিরিক্ত উপপরিচালক(উদ্ভিদ সংরক্ষণ), কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল মজিদ ও অত্র প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার কৃষিবিদ মোঃ অনিক মেহফুজ।
০২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে ফসলের জমিতে বহুল ব্যবহৃত রাসায়নিক সারসমূহ, সার ব্যবস্থপানা এবং ভেজাল সার নির্ণয়; বালাইনাশক ব্যবহার, বাজারজাতকরণ আইন, পরিদর্শকের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং ভেজাল বালাইনাশক নির্ণয়; ফসলের প্রয়োজনীয় অত্যবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদানের অভাবজনিত লক্ষণ ও প্রতিকার; পলিনেট হাউজ ও কোল্ড স্টোরেজ ব্যবস্থাপনা; জৈব বালাইনাশক, পলি মালচ, উত্তম কৃষি চর্চা, জেলায় সম্ভাবনাময় রিলে ফসল, আন্তঃমিশ্র ফসল, নতুন ফসল বিন্যাস এবং পুকুর/ডোবার পাড় ও নদীর চরের পতিত জমিকে চাষের আওতায় আনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষকবৃন্দ আলোচনা করেন।
০২ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে পাবনা জেলার ৬০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।