সমীরণ বিশ্বাস: প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘনকুয়াশার কবল থেকে বোরো ধানের বীজতলার চারা রক্ষার জন্য এখন যা করা দরকার তার পরামর্শ প্রদান করা হলো:
১. প্রতিদিন সন্ধ্যার সময় বীজতলা সেচের পানি দিয়ে ডুবিয়ে রাখতে হবে এবং পরদিন সকাল বেলায় পানি বের করে দিন। চারাগাছে সূর্যের রোদ লাগার ব্যবস্থা করতে হবে। বীজতলায় ২-৫ সেন্টিমিটার (০.৭৮ থেকে ২ ইঞ্চি) পানি রাখুন এবং মাঝে মাঝে জমে থাকা পানি বের করে পুনরায় নতুন পানি দিন।
২. আপনার বোরো ধানের বীজতলা প্রতিদিন সকালে একবার পরিদর্শন করতে হবে। বীজতলার চারা যদি হলুদ হয়ে যায়, তাহলে প্রতি শতাংশ বীজতলার জন্য ২০০ গ্রাম হারে ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করা দরকার এবং এতে হলুদ না কমলে, প্রতি শতাংশ বীজতলার জন্য ১০০ গ্রাম হারে জিপসাম সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
৩. বীজতলা পাতাঝলসানো রোগে আক্রামত্ম হলে সকাল বেলায় রশি টানা দিয়ে চারা থেকে কুয়াশার পানি ফেলে দিতে হবে এবং বীজতলায় প্রতি শতাংশের জন্য ৫০ গ্রাম হারে পটাশ সার প্রয়োগ করা প্রয়োজন।
৪. অতিরিক্ত ঠান্ডায় বীজতলায় ছাই ছিটিয়ে তাপমাত্রা ধরে রাখা যায়। কাজেই এ অবস্থায় বীজতলায় ছাই ছিটাতে পারেন।
৫. স্বচ্ছ পলিথিন আবৃত ধানের শুকনা বীজতলা তৈরি করা।
৬. বীজতলা থেকে চারা তোলার এক সপ্তাহ আগে অনুমোদিত হারে কীটনাশক ছিটাতে পারেন । এতে বীজতলার চারা পোকামাকড়ের আক্রমন থেকে রক্ষা পাবে।
৭. বিস্তারিত জানার জন্য আপনার নিকস্থ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সাথে অথবা উপজেলা কৃষি অফিসে যোগাযোগের করুন।
লেখক: সমীরণ বিশ্বাস, কৃষি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ , ঢাকা।