
এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: দক্ষিণ এশিয়ায় আন্তঃসীমান্ত প্রাণী রোগের প্রভাব মূল্যায়ন শীর্ষক দুই দিনব্যাপী আঞ্চলিক কর্মশালা এবং সার্ক প্রধান ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ফোরামের সভা বুধবার (১০ ডিসেম্বর ২০২৫) শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে শুরু হয়েছে। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে সার্ক কৃষি কেন্দ্র, ঢাকা এবং প্রাণি উৎপাদন ও স্বাস্থ্য বিভাগ, শ্রীলঙ্কা।
কর্মশালায় সার্কভুক্ত দেশগুলো: বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাসহ বিশ্ব প্রাণী স্বাস্থ্য সংস্থা এশিয়া-প্যাসিফিক, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক কার্যালয়, প্রাণি ও ফসল উৎপাদন ব্যবস্থা উদ্যোগ এবং অন্যান্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার নীতি-নির্ধারক, বিজ্ঞানী ও ভেটেরিনারি বিশেষজ্ঞরা অংশ নিয়েছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডি.পি. উইক্রেমাসিংহে, সচিব, কৃষি, প্রাণিসম্পদ, ভূমি ও সেচ মন্ত্রণালয়, শ্রীলঙ্কা, প্রযুক্তি, পরীক্ষাগার সক্ষমতা ও আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থায় বিনিয়োগ বাড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রাণী স্বাস্থ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা খাদ্য নিরাপত্তা, গ্রামীণ অর্থনীতি এবং আঞ্চলিক বাণিজ্যের জন্য অপরিহার্য।
অনুষ্ঠানের সম্মানিত অতিথি ড. পালিকা ফার্নান্দো, অতিরিক্ত সচিব, কৃষি, প্রাণিসম্পদ, ভূমি ও সেচ মন্ত্রণালয়, শ্রীলঙ্কা, দেশটির ভেটেরিনারি সেবা ও রোগ নজরদারি ব্যবস্থার উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আঞ্চলিক কর্মশালা একে অপরের অভিজ্ঞতা শেয়ার এবং কৌশল সমন্বয়ের সুযোগ তৈরি করে।
সার্ক সচিবালয়ের পক্ষে তানভীর আহমেদ তরফদার, পরিচালক, (এআরডি এবং এসডিএফ) নেপাল, জাতীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও আঞ্চলিক কাঠামোর সমন্বয় গুরুত্বারোপ করেন। তিনি জানান, সার্ক সচিবালয় সীমান্ত-পারের সহযোগিতা, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সমন্বিত রিপোর্টিং ব্যবস্থায় আরও জোর দেবে।
ড. মো. হারুনূর রশীদ, সার্ক কৃষি কেন্দ্রের পরিচালক বলেন, “একটি দেশ একা আন্তঃসীমান্ত প্রাণী রোগ মোকাবেলা করতে পারবে না। যৌথ জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সমন্বিত পদক্ষেপই দক্ষিণ এশিয়ার প্রাণিসম্পদ খাতকে টেকসইভাবে রক্ষা করতে পারে।”
সভাপতির সমাপনী বক্তব্যে ড. কে.কে. সরথ, প্রধান ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ও মহাপরিচালক, প্রাণি উৎপাদন ও স্বাস্থ্য বিভাগ, শ্রীলঙ্কা, টেকসই আঞ্চলিক প্রতিশ্রুতির গুরুত্ব তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ড. মো. ইউনুস আলী, সিনিয়র প্রোগ্রাম বিশেষজ্ঞ, সার্ক কৃষি কেন্দ্র, বলেন, প্রাণি রোগ নজরদারি, যৌথ গবেষণা এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ নির্ভর গ্রামীণ জীবিকা রক্ষা সম্ভব।
উল্লেখ্য, দুই দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রযুক্তিগত সেশন, দেশভিত্তিক উপস্থাপনা এবং ফোকাসড গ্রুপ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। মূল সুপারিশসমূহ সার্ক প্রধান ভেটেরিনারি কর্মকর্তা ফোরামে নীতি-পর্যায়ে প্রেরণ করা হবে। বৈঠকটি আন্তঃসীমান্ত প্রাণী রোগ মোকাবেলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা শক্তিশালীকরণ এবং কোটি মানুষের জীবিকা রক্ষায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর যৌথ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
























