এগ্রিলাইফ প্রতিনিধি: পোল্ট্রি শিল্পটি আর দশটি শিল্পের মতো নয়, এখানে জীবন্ত বার্ড নিয়ে কাজ করতে হয়, তাদের ভাষা বুঝতে হয় ৷ কাজেই যারা এর সাথে জড়িত, তাদের অত্যন্ত সতর্কভাবে, খামার পরিচালনা করে ডিম এবং ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করতে হয়। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক শিল্পের পরেই অত্যন্ত শ্রমঘন শিল্প হওয়া সত্ত্বেও তেমন কোনও নজরদারি নেই এই শিল্পের প্রতি। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে শিল্পটি দেশের আপামর জনসাধারণের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করছে তাঁদের প্রতি যতটুকু গুরুত্ব দেওয়া দরকার সেই ধরণের গুরুত্ব এই শিল্পটি পায় না।
১৩ তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো-উপলক্ষে এগ্রিলাইফকে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন,নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারী লিমিটেড-এর জিএম (সেলস্ এন্ড মার্কেটিং) জনাব এস এম এ হক। মেলাটি যৌথভাবে আয়োজন করছে ওয়ার্ল্ড’স পোল্ট্রি সায়েন্স এসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখা এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাষ্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)।
জনাব এস এম এ হক বলেন, ১৯৯৯ সাল থেকে বাংলাদেশে শুরু হওয়া আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শোর মাধ্যমে এই পোল্ট্রি শিল্পটি ধীরে ধীরে গুরুত্ব পেতে থাকে। যেটি এখন একটি বৃহৎ পরিসরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমরা আশা করব এই শিল্পটি নিয়ে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে একটি সমন্বয়ের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ একটি টেকসই শিল্প হিসাবে আগামীতে গুরুত্ব পাবে।
তিনি বলেন "আমরা যারা মাঠপর্যায়ে যারা খামারিদের সাথে সম্পৃক্ত থেকে কাজ করি তারা খামারিদের দুঃখ কষ্ট বুঝি, পরিবেশকদের দুঃখ কষ্ট বুঝি এবং সেগুলো তুলে ধরে আমরা কাজ করতে চাই। এখানে বহু চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেই চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবেলা করা সত্যিই অত্যন্ত কষ্টকর। তারপরেও আমরা মনের টানে প্রাণের টানে কাজ করে যাই"। জনাব হক আশা করেন এদেশে একদিন খামারীরা সামনের দিকে চলে আসবে এবং তাদের কর্মকে গুরুত্বের সাথে দেশের সকলে বিবেচনা করবে।
চলতি পোল্ট্রি মেলায় নারিশ পোল্ট্রি সক্রিয়ভাবে ১৩ তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি মেলায় অংশগ্রহণ করছে। "আমরা আশা করি আমাদের উৎপাদিত পণ্য গুলি উদ্যোক্তারা, দর্শনার্থীরা আমাদের মেলায় এসে আরো পূর্ণাঙ্গভাবে দেখতে পারবেন। কিভাবে আমরা নারিশ দেশের এক নম্বর ফিড ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। মেলায় মোট ৯ টি স্টলের সমন্বয়ে নারিশের ভিলয়ন (Hall -B Category-A Stall : 127-135) সাজানো হয়েছে জানিয়ে তিনি সবাইকে মেলায় তাদের প্যাভিলিয়ন ভিজিট করার জন্য আমন্ত্রন জানান।
উল্লেখ্য, “Sustainable Poultry for Emerging Bangladesh” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে চলতি মাসের ২০,২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি তিনদিন ব্যাপি ১৩ তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি শো পূর্বাচলে অবস্থিত "আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা" প্রাঙ্গনে বিশাল পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ১৮-১৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর রেডিসন ব্লু তে অনুষ্ঠিত হবে আন্তর্জাতিক কারিগরি সেমিনার।
