বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আলিমুল ইসলাম এবং তাঁর গবেষক দল দেশে প্রথমবারের মতো ব্রয়লারের দেহে ইনক্লুশন বডি হেপাটাইটিস (আইবিএইচ) রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী ফাউল অ্যাডেনোভাইরাসের দুটি সেরোটাইপ (৮বি এবং ১১) শনাক্ত করেছেন ।

প্রফেসর ড. মোঃ সামিউল আহসান তালুকদার তুষার: রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বাংলাদেশের একজন দূরদর্শী নেতা, ১৯৭৭ সালে সৌদি আরবে একটি অসাধারণ অবদান রেখেছিলেন, যা আজ দীর্ঘ পঁয়তাল্লিশ বছর পরেও দেশটির পরিবেশগত ও ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে গভীর প্রভাব ফেলছে। তৎকালীন সৌদি বাদশা ফাহাদ বিন আব্দুল আজিজের আমন্ত্রণে রিয়াদে গিয়েছিলেন তিনি। অন্য রাষ্ট্রনেতাদের মতো মূল্যবান উপহারের পরিবর্তে জিয়াউর রহমান নিয়ে গিয়েছিলেন নিমের চারা। এই সাধারণ উপহারটি সৌদি বাদশার কাছে এতটাই মূল্যবান হয়ে ওঠে যে, তা এক অপরূপ "ঐশ্বর্য" এ পরিণত হয়েছে।

বাকৃবি প্রতিনিধি: শরীরে ছোপ ছোপ দাগ, বমি বমি ভাব, লাল টকটকে মিউকাস পর্দা এবং তীব্র ডায়রিয়া—এসবই আর্সেনিক বিষক্রিয়ার উপসর্গ। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে আর্সেনিকের বিষ‌ক্রিয়ার প্রভাবে ক্যান্সার, কিডনি ও লিভার বিকল হওয়ার ঝুঁকিও র‌য়ে‌ছে। পরিবেশ দূষণের ফলে দেশের ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক দূষণের ভয়াবহতা ক্রমেই বাড়ছে। ধান চাষে পানির ব্যবহার অপরিহার্য হওয়ায়, খাদ্যচক্রের মাধ্যমে চালে আর্সেনিক জমার প্রবণতাও বেশি। তবে স্থানভেদে পানির আর্সেনিক ঘনমাত্রার তারতম্যের কারণে চালে এর পরিমাণেও ভিন্নতা দেখা যায়।

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলা‌দে‌শের পার্বত‌্য চট্টগ্রা‌মে রাঙামা‌টি জেলায় অব‌স্থিত কৃ‌ত্রিম মিঠা পা‌নির হ্রদ কাপ্তাই হ্রদ। ১৯৫৬ সা‌লে কর্ণফুলী নদী‌তে বাঁধ নিমার্ণের সম‌য় ৫৬ হাজার কৃ‌ষি জ‌মি প্লা‌বিত হ‌য়ে এই হ্রদের সৃ‌ষ্টি হয়। বর্তমা‌নে এই হ্রদ শুধুমাত্র মিঠা পা‌নির মা‌ছের আধার নয় বরং প্রজনন কেন্দ্রে প‌রিণত হ‌য়ে‌ছে।

বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করা ও উদ্ভাবনী চিন্তা প্রকাশের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের উদ্যোগে বায়োইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের পোস্টার প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

ড. এম মনির উদ্দিন: মৌমাছি প্রকৃতির সবচেয়ে পরিশ্রমী এবং অপরিহার্য প্রানীদের মধ্যে একটি যারা বৈশ্বিক ইকো-সিস্টেম ও কৃষি ব্যবস্থায় গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা পালন করে। বিশ্বব্যাপী, শীর্ষস্থানীয় ১১৫টি খাদ্য ফসলের মধ্যে প্রায় ৯০টির পরাগায়ন মৌমাছির মাধ্যমে হয় যা বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদনের ৩৫ শতাংশ অবদান রাখে। পরাগায়ন হলো একটি জৈবিক প্রক্রিয়া যা ফসলের বা গাছের বংশবৃদ্ধি তথা ফসল উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন এবং মৌমাছি হলো ফসলের প্রধান পরাগায়নকারী। মৌমাছি যখন ফুল থেকে ফুলে যায়, তখন ফুলের পুরুষ পরাগরেনু ফুলের স্ত্রী স্টিগমাটাতে পরাগায়ন ঘটিয়ে নিষিক্ত করে যার ফলে ফল বা ফসলের বীজ উৎপাদিত হয়। এভাবে, বিশ্বব্যাপী মৌমাছির পরাগায়ন পরিষেবার মুল্য প্রায় ১৫৩ বিলিয়ন ইউরো যা সরাসরি মানুষের খাদ্যের জন্য ব্যবহৃত কৃষি উৎপাদনের মোট অর্থনৈতিক মুল্যের ৯.৫ শতাংশ।