নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন, চ্যালেঞ্জ কীটনাশক

প্রফেসর আবু নোমান ফারুক আহম্মেদসমীরণ বিশ্বাস : বর্তমান বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা শুধু পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এর সাথে জড়িত রয়েছে খাদ্যের মান, পুষ্টিগুণ এবং নিরাপত্তা। বাংলাদেশসহ অনেক কৃষিনির্ভর দেশে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন একটি বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে এবং ফসলকে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে কৃষকরা অতিরিক্তভাবে রাসায়নিক কীটনাশকের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।

এই অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার একদিকে মাটির উর্বরতা নষ্ট করছে, অন্যদিকে পানির উৎস দূষিত করছে। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হচ্ছে মানুষের স্বাস্থ্যে, দীর্ঘমেয়াদে এসব রাসায়নিক খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে ক্যান্সার, কিডনি ও লিভারের রোগ, স্নায়বিক সমস্যা এমনকি প্রজনন জটিলতা তৈরি করছে। এছাড়া, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের কৃষিপণ্য প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে না পারার অন্যতম কারণও হচ্ছে নিরাপদ খাদ্য মান বজায় রাখতে ব্যর্থতা। যদিও সরকার এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা “বাংলাদেশ-GAP” বা উত্তম কৃষি চর্চা নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে জৈব সার ও বায়োপেস্টিসাইড ব্যবহারের দিকে জোর দিচ্ছে, তবে বাস্তব প্রয়োগে এখনও বড় সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের পথে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা এখন জরুরি প্রয়োজন।

কীটনাশকের ইতিহাস ও বর্তমান প্রেক্ষাপট:

বাংলাদেশে কীটনাশকের ব্যবহার, ইতিহাস ও বর্তমান প্রেক্ষাপট: বাংলাদেশে কৃষি উৎপাদন দীর্ঘদিন ধরে নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বিশেষ করে পোকামাকড় ও রোগবালাই ফসল উৎপাদনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যা মোকাবিলায় দেশে কীটনাশকের ব্যবহার শুরু হয় ১৯৫৩ সালে। সে সময় “বোকার ফসল পোকায় খায়” স্লোগানকে সামনে রেখে রাষ্ট্রীয় কর্তা ব্যক্তিরা কৃষকদের কীটনাশক ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল কৃষি উৎপাদন বাড়ানো এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রথমদিকে সীমিত আকারে কীটনাশক ব্যবহার করা হলেও, ধীরে ধীরে তা ব্যাপক আকার ধারণ করে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে মোট কীটনাশক ব্যবহার ছিল মাত্র ৪ হাজার মেট্রিক টন। কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকার কৃষকদের ভর্তুকি, প্রশিক্ষণ এবং বাজারে সহজলভ্যতা নিশ্চিত করে। এর ফলে ফসল উৎপাদনে কিছুটা ইতিবাচক প্রভাব দেখা গেলেও, অযাচিত ব্যবহার বাড়তে থাকে। এরপর থেকে কীটনাশকের ব্যবহার দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। গত ৫০ বছরের মধ্যে ব্যবহার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ভয়াবহ মাত্রায়। তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে (২০২২ সালে) দেশে কীটনাশকের ব্যবহার প্রায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন। অর্থাৎ ১৯৭২ সালের তুলনায় এটি দশগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৃদ্ধি কেবল উৎপাদনের চাহিদা পূরণের কারণে নয়, বরং কৃষকদের সচেতনতার অভাব, বিকল্প প্রযুক্তির স্বল্পতা এবং কোম্পানির প্রচারণার ফলেও ঘটেছে।

অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের প্রভাব এখন ভয়াবহ আকারে দেখা যাচ্ছে। একদিকে কৃষকের উৎপাদন খরচ বাড়ছে, অন্যদিকে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। একই সঙ্গে নদী-খাল-জলাশয়ে কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ মিশে পরিবেশ দূষণ ঘটাচ্ছে। মাছ, পাখি ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হলো, এসব কীটনাশক মানুষের খাদ্যে প্রবেশ করে ধীরে ধীরে নানা জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বাংলাদেশের কৃষি খাত এখন এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। একদিকে খাদ্য উৎপাদনের চাহিদা বাড়ছে, অন্যদিকে কীটনাশকের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা বড় বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজন জৈব বা বায়োপেস্টিসাইডের ব্যবহার বৃদ্ধি, সমন্বিত বালাই দমন (IPM) পদ্ধতির প্রসার এবং কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধি। একই সঙ্গে সরকারের নীতিগত সহায়তা ও গবেষণা কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে হবে। সার্বিকভাবে বলা যায়, ১৯৫৩ সালে শুরু হওয়া কীটনাশক ব্যবহারের যাত্রা আজ আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছেছে। খাদ্য নিরাপত্তার সাথে সাথে এখন সময় এসেছে নিরাপদ খাদ্য ও পরিবেশ সুরক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তোলার।

কীটনাশকে পোকা নিয়ন্ত্রণ ও মানব ঝুকি:

কীটনাশক আধুনিক কৃষিতে পোকামাকড় দমন এবং ফসল রক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে এর অতিরিক্ত ও অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কীটনাশকের সক্রিয় রাসায়নিক উপাদান শ্বাসনালী, চামড়া এবং খাদ্যের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সার, স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা, লিভার ও কিডনি বিকলসহ বিভিন্ন জটিল রোগ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা সংস্থার জরিপ অনুযায়ী, দেশে ক্যান্সারে আক্রান্ত কৃষকদের প্রায় ৬৪% নিয়মিত কীটনাশক স্প্রে করার কারণে আক্রান্ত হচ্ছেন। খোলা মাঠে কীটনাশক ব্যবহারের সময় কৃষকরা প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী যেমন মাস্ক, গ্লাভস বা বিশেষ পোশাক ব্যবহার করেন না। ফলে বিষাক্ত রাসায়নিক সরাসরি তাদের শরীরে প্রবেশ করে। একইসঙ্গে কীটনাশক অবশিষ্টাংশ খাদ্যে থেকে গিয়ে ভোক্তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। শিশু ও গর্ভবতী নারীরা এসব ঝুঁকিতে বেশি ভোগেন। মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ফলে আজ ঘরে ঘরে ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগ দেখা দিচ্ছে। কৃষকরা ফসল রক্ষার জন্য অযাচিতভাবে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করেন, কিন্তু এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে খাদ্য নিরাপত্তা ও জনস্বাস্থ্যের ওপর। গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে ক্যান্সার আক্রান্তদের একটি বড় অংশ দীর্ঘদিন কীটনাশকের সংস্পর্শে থাকার ফলেই আক্রান্ত হচ্ছেন। বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বর্তমানে দেশে কীটনাশকের বাজার পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি, যা এ খাতের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার একটি স্পষ্ট প্রমাণ। তবে আশার কথা হলো, পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতির দিকে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে দেশ। ইতোমধ্যে দেশে ১১০টি নিবন্ধিত বায়ো পেস্টিসাইড বা জৈব কীটনাশক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য তুলনামূলক নিরাপদ। পাশাপাশি সরকার সচেতন পদক্ষেপ হিসেবে ৪০টি ক্ষতিকর কীটনাশক নিষিদ্ধ করেছে। এসব উদ্যোগ টেকসই কৃষি ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে এখনো সামনে বড় চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে, কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, বিকল্প প্রযুক্তি ব্যবহার ও বাজারে জৈব কীটনাশকের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করা। রাসায়নিকের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমিয়ে বায়ো পেস্টিসাইড ও সমন্বিত কীটপতঙ্গ ব্যবস্থাপনা (IPM) বাড়ানো গেলে কৃষি হবে নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর এবং টেকসই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে, প্রতি বছর পৃথিবীতে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ কীটনাশক বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে প্রায় ২ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। তাই নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের স্বার্থে জৈব ও পরিবেশবান্ধব বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ এবং কৃষকদের সচেতনতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান CABI  এর  বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সালেহ আহমেদ বলেন ; কীটনাশকের ব্যবহার সীমিত করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর জন্য নতুন নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি  উদ্ভাবন ও বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

সাংবাদিকদের ভূমিকা:

কীটনাশক ব্যবহার কমানো এবং সতর্কতায় সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ হিসেবে কাজ করেন। কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে তারা সঠিক তথ্য জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারেন। অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহারের ক্ষতিকর প্রভাব যেমন ক্যান্সার, পরিবেশ দূষণ ও মাটির উর্বরতা হ্রাস, এসব বিষয় সংবাদ প্রতিবেদন, টক শো কিংবা ফিচার আকারে প্রচার করলে কৃষক ও ভোক্তা উভয়ের সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া সাংবাদিকরা কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতামত, জৈব ও বায়ো কীটনাশকের সুবিধা এবং কীভাবে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন সম্ভব সে বিষয়ে আলোকপাত করতে পারেন। এভাবে গণমাধ্যম কৃষকদের বিকল্প পদ্ধতি সম্পর্কে জানার সুযোগ সৃষ্টি করে। একই সঙ্গে কীটনাশক বিক্রেতা ও কোম্পানিগুলোর অনিয়ম বা অবৈধ ব্যবসা উন্মোচন করাও সাংবাদিকদের দায়িত্বের অংশ। এতে সরকার নীতিনির্ধারণে আরও সতর্ক হতে পারে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, সাংবাদিকদের ইতিবাচক ভূমিকা সমাজে আস্থা তৈরি করে। তারা শুধু সমস্যার চিত্র নয়, সমাধানের পথও দেখাতে পারেন। সঠিক তথ্য প্রচার এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরলে কৃষকরা সচেতন হবে, জনগণ নিরাপদ খাদ্যের দাবি তুলবে এবং সরকার নীতি সংস্কারে উদ্যোগী হবে। ফলে কীটনাশক ব্যবহারের ঝুঁকি কমে যাবে এবং একটি সুস্থ প্রজন্ম গড়ে উঠবে।

কীটনাশকের ভয়াবহতা আজ দেশের কৃষি ও জনস্বাস্থ্যের জন্য এক গুরুতর হুমকি। মাত্রাতিরিক্ত ও অযাচিত কীটনাশক ব্যবহার মাটির উর্বরতা নষ্ট করছে, পানির উৎসকে দূষিত করছে এবং মানুষের শরীরে ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগের কারণ হয়ে উঠছে। এই ভয়াবহ বাস্তবতা জনগণের কাছে তুলে ধরতে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত ইতিবাচক। তারা সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন মাধ্যমে নিয়মিত প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে কৃষক ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন। সাংবাদিকরা শুধু সমস্যার দিকটি তুলে ধরেননি, পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে জৈব বা বায়ো-পেস্টিসাইড ব্যবহারের উপকারিতাও প্রচার করেছেন। এছাড়া সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ কীটনাশকের তথ্য, ভেজাল ব্যবসায়ীদের অনিয়ম এবং কৃষকদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তারা নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। ফলে অনেক কৃষক এখন সচেতন হচ্ছেন এবং কীটনাশক ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করছেন। বলা যায়, সাংবাদিকদের ইতিবাচক ভূমিকার কারণেই কীটনাশকের ভয়াবহতা নিয়ে সামাজিক আলোচনা এবং সচেতনতা কার্যকরভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের মূল বাধা হলো কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার। যতদিন না পর্যন্ত কৃষকরা বিকল্প পদ্ধতিতে কৃষি উৎপাদনের দিকে ঝুঁকবেন, ততদিন পর্যন্ত খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হবে। এজন্য প্রথমেই প্রয়োজন কৃষকদের সচেতন করা, যাতে তারা বুঝতে পারেন কীটনাশক কেবল ফসলের ক্ষতি ঠেকায় না, বরং মানুষের জীবন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও হুমকি সৃষ্টি করে। সমাধান হিসেবে জৈব সার, জৈব কীটনাশক এবং সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা (IPM) কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। পাশাপাশি, কৃষি খাতে গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। সরকারকে কঠোরভাবে কীটনাশকের বাজার নিয়ন্ত্রণ, মান যাচাই এবং ভর্তুকির ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে হবে। একই সঙ্গে কৃষিপণ্যের আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে নিরাপদ খাদ্য শংসাপত্রের ব্যবস্থা বাড়ানো অপরিহার্য। অবশেষে বলা যায়, কৃষি শুধু খাদ্য উৎপাদনের জন্য নয়, এটি স্বাস্থ্য ও জীবন রক্ষার সাথেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই “বেশি উৎপাদন নয়, নিরাপদ উৎপাদন” এটাই হওয়া উচিত কৃষির ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা। কীটনাশক কমিয়ে নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দিলে কৃষক, ভোক্তা এবং দেশের অর্থনীতি সবাই উপকৃত হবে।

লেখক: ১, অধ্যাপক, শেরোবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও রেজিস্ট্রার্ড ট্রেইনার-গ্লোবালগ্যাপ;২, কৃষি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, ঢাকা।