বাকৃবিতে বীজ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী ও সনদ বিতরণী

বাকৃবি প্রতিনিধি:বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত ‘শর্ট ট্রেনিং কোর্স অন সীড টেকনোলজি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী ও সনদ বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর গোলাম আলী ফকির সীড প্যাথলজি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ১৫ দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মোট ২৫ জন স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন।

সীড প্যাথলজি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. পূর্ণিমা দে’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবর রহমান এবং উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. ইসলাম হামিম।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া তাঁর বক্তব্যে বলেন, ত্রিশালের কচু সাদা, লাল কিংবা কালো এসবই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেনেটিক রিসোর্স এবং কৃষি খাতের মূল্যবান সম্পদ। যার হাতে বীজের মালিকানা থাকে, বাজার নিয়ন্ত্রণের সুযোগও তার হাতেই থাকে। আমাদের ছোটবেলায় দেখতাম, বাবা-চাচা কিংবা দাদারা নিজেদের জমি থেকে ধানের বীজ রেখে পরবর্তী মৌসুমে ব্যবহার করতেন। কিন্তু বর্তমানে সেই চর্চা অনেকটাই হারিয়ে যাচ্ছে যা কৃষি সংস্কৃতির জন্য উদ্বেগজনক।

তিনি আরও বলেন, এ ধরণের প্রবণতা অব্যাহত থাকলে কৃষি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে; কৃষকদের উচ্চমূল্যে বীজ কিনে চাষ করতে হবে। তোমরা অনার্স ও মাস্টার্সে তাত্ত্বিক জ্ঞান অর্জন করেছ এ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে দেশপ্রেম ও পেশাগত দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। আমি চাই এই ব্যাচ থেকে অন্তত ১০ জন বীজ উদ্যোক্তা তৈরি হোক। সীড প্যাথলজি সেন্টার ভবিষ্যতেও এ ধরনের প্রশিক্ষণ অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।