রাজধানী প্রতিনিধি: আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০ ঘটিকায় জাতীয় কৃষিনীতি ২০১৮: পর্যালোচনা ও কাঙ্খিত কৃষিনীতি বিষয়ক এ্যাডভোকেসি কর্মশালা, কৃষি তথ্য সার্ভিস, কনফারেন্স রুম, খামারবাড়ি, ঢাকাতে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নুর আহম্মেদ, অরগানাইজেশনাল ডেভলোপমেন্ট এ্যাডভাইজার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান আনন্দের নির্বাহী পরিচালক মনিরুজ্জামান মিয়া।
এ্যাডভোকেসি কর্মশালাটি পাওয়ার পয়েট উপস্থাপন করেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের সাবেক পরিচালক মো: নজরুল ইসলাম। তিনি তার উপস্থাপনায় বলেন বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান নিয়ামক কৃষি। উৎপাদনশীলতা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, গ্রামীণ কর্মসংস্থানসহ জিডিপিতে কৃষিখাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। দেশের মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৪০ শতাংশ প্রত্যক্ষভাবে কৃষিকাজে জড়িত। কৃষি খাতের সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বপ্রথম জাতীয় কৃষিনীতি-১৯৯৯ প্রণয়ন করা হয়। পরবর্তীতে সময়োপযোগী করে জাতীয় কৃষি নীতি-২০১৩ প্রণয়ন করা হয়। এসডিজি অর্জন এবং বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সুষ্ঠভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৮ প্রণয়ন করা হয়।
তিনি বলেন, জাতীয় কৃষি নীতি ২০২৩ এখনো প্রণয়ন করা হয়নি। তাই কৃষিতে সকল বৈষম্য নিরসনসহ জাতীয় স্বার্থে অনতিবিলম্বে নতুন জাতীয় কৃষিনীতি প্রণয়ন করা জরুরী।
উক্ত এ্যাডভোকেসি কর্মশালায় জাতীয় কৃষিনীতি নিয়ে আলোচনা করেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক তারিক হাসান। তিনি বলেন এই জাতীয় কৃষিনীতি প্রণয়নের কৃষিকের চাহিদা পুরনে তথা বাংলাদেশের জাতীয় অথনিতিতে কৃষি একটি বড় ভূমিকা রাখবে বালে আশা করেন।
অনুষ্ঠানে আগত কৃষক প্রতিনিধিগণ উক্ত কৃষিনীতি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবী জানান।