এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: মাংসে ভরপুর কিংবা উন্নতমানের মুরগি যতই বাজারে সহজলভ্য হোক না কেন, বাঙ্গালী খোঁজে দেশি স্বাদের মুরগি। বাজারে দেশী মুরগি বলে যে মুরগিগুলো বিক্রি হচ্ছে তার বেশিরভাগই হয় ‘কালার বার্ড’ নয়তো ‘সোনালী মুরগি’। ক্রমাগত ইন-ব্রিডিং এর কারণে সোনালী মুরগিতে রোগজীবানুর সংক্রমণ বেশি; তাই চিকিৎসা খরচও অত্যধিক। মূলত: সে কারণেই খামারিরা এখন কালার মুরগি পালনে অধিক আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ মুরগি পালনে ঝুঁকি কম, গ্রোথ বেশি, মাংসও দেশী মুরগির মতই সুস্বাদু।
আজ শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) রাজধানির একটি হোটেলে কালার মুরগির প্রিমিয়াম গ্রান্ড প্যারেন্টস্টক (জিপি) -এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
প্যারাগন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মসিউর রহমান বলেন, এদেশের ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে এতদিন আমরা বিদেশ থেকে কালার মুরগির প্যারেন্টস্টক বা পিএস বাচ্চা আমদানি করতাম। এজন্য ঋণপত্র খোলা, উচ্চমূল্যে ডলার ক্রয়, উৎপাদনকারি দেশ থেকে বিমানে করে বাংলাদেশে একদিন বয়সী পিএস বাচ্চাগুলো আনা, মরটালিটি- এ রকম অসংখ্য ঝুঁকি ছিল। কিন্তু এখন দেশীয় ব্রিডার ফার্মগুলো কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই সুলভমূল্যে দেশের ভেতরেই কালার পিএস বাচ্চা ক্রয় করতে পারবেন। এতে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। উদ্যোক্তা ও খামারিরা যেমন লাভবান হবেন,্ তেমনি ভোক্তারাও কম দামে দেশি মুরগির স্বাদ নিতে পারবেন।
হার্ব্বাড এসএএস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অলিভার রোচার্ড বলেন, বহু বছরের জেনেটিক সিলেকশন ও গবেষণার ফল হচ্ছে হাইব্রিড জাতের ‘প্রিমিয়াম কালার জিপি-, যা উৎপাদন করেছে বিশে^র শীর্ষস্থানীয় পোল্ট্রি ব্রিডিং কোম্পানী ‘হাববার্ড’। হাব্বার্ডের প্রিমিয়াম কালার জিপি, পিএস ও কর্মাশিয়াল বার্ডের পারফরমেন্স খুবই ভাল। সর্বোচ্চ প্রোডাকটিভিটি ও হ্যাচিবিলিটি; বাংলাদেশের আবহাওয়ার সাথেও অত্যন্ত মানানসই। তিনি বলেন, ব্রয়লার, লেয়ার ও কালার মুরগির জাতকে আরও উন্নত করার জন্য আমাদের গবেষকগণ নিরলসভাবে কাজ করছেন। সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য নিরাপদ ও মানসম্মত ডিম ও মুরগির মাংস উৎপাদনে আমরা বদ্ধপরিকর।
প্যারাগন গ্রুপের পক্ষ থেকে জানানো হয়- বাংলাদেশের ভোক্তাদের মাঝে ইতোমধ্যেই এ জাতের মুরগির ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে। আগামীতে কালার মুরগি সোনালি জাতের মুরগির জায়গা দখল করবে বলে আমাদের ধারণা। তাই বলা যেতে পারে কালার মুরগিই আগামীর ভবিষ্যত। এর আগে হাব্বার্ডের লেয়ার জিপি (নভোজেন) ও ব্রয়লার জিপি বাংলাদেশে এনেছে প্যারাগন। এ উদ্যোগের ফলে দেশে পোল্ট্রি মুরগি ও ডিমের উৎপাদন বহুগুণে বেড়েছে।