খাদ্য নিরাপত্তায় বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণ কর্মীদের সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: চট্টগ্রামের হাটহাজারীস্থ আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে ২১ থেকে ২২ মে পর্যন্ত দুই দিনব্যাপী “কৃষি গবেষণা-সম্প্রসারণ পর্যালোচনা ও কর্মসূচি কর্মশালা ২০২৫” অনুষ্ঠিত হয়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের কৃষি বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার অংশগ্রহণে আয়োজিত এই কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য ছিল কৃষি উৎপাদন ও নিরাপত্তা জোরদারে গবেষণা ও সম্প্রসারণ কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন।

কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই), গাজীপুরের পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, “খাদ্য উৎপাদন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্ভাবিত জাতসমূহ মাঠে সম্প্রসারণের জন্য বিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণ কর্মীদের একযোগে কাজ করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড. মো. সহিদুল ইসলাম খান, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষিবিদ জনাব আবদুচ ছোবাহান, অতিরিক্ত পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম অঞ্চল; ড. বিমল কুমার প্রামানিক, উপপরিচালক, কক্সবাজার; ড. আমিনুল ইসলাম, মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ব্রি, সোনাগাজী এবং বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মোহাম্মদ আমিন ও ড. মনোরঞ্জন ধর, সাবেক মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিএআরআই।

চারটি কারিগরি অধিবেশনে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলার কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, পারমাণবিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি ও এনজিও প্রতিনিধি সহ প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা, বিজ্ঞানী ও উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেন।

উপস্থাপিত আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ছিল লবণাক্ততা ও জোয়ার-ভাটা সহিষ্ণু জাত উদ্ভাবন, ঢলে পড়া রোগ দমনে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার ব্যবহার, হাইড্রোপনিক ও ভাসমান কৃষি প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, অমৌসুমী ফল চাষ বৃদ্ধি এবং আলোর প্রতি সহনশীল ধানের জাত নিয়ে গবেষণার অগ্রগতি। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা এসব উদ্ভাবন মাঠ পর্যায়ে দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।