
সমীরণ বিশ্বাস:বাংলাদেশে আসন্ন খাদ্য সংকট ও সমাজিক অস্থিরতা বর্তমানে এক জটিল ও সংকটপূর্ণ সময় অতিক্রম করছে। একদিকে জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, অন্যদিকে দেশের এক বিশাল জনগোষ্ঠী খাদ্য সংকট ও অপুষ্টির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। সরকার, ইউনিসেফ, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (WFP) এবং খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের যৌথ গবেষণায় উঠে এসেছে যে, দেশের ১৩টি জেলায় প্রায় ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ IPC Phase 3 “Crisis” পর্যায়ের খাদ্য সংকটে রয়েছে। একইসঙ্গে ১৬ লাখ শিশু তীব্র অপুষ্টির ঝুঁকিতে রয়েছে, যা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক ভয়াবহ সংকেত।

সমীরণ বিশ্বাস:মাটি ও ফসলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জৈব সারের গুরুত্ব অপরিসীম। আধুনিক কৃষিতে উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে অতিরিক্ত রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার মাটির উর্বরতা হ্রাস করছে এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে। মাটির জীবাণু, কেঁচোসহ প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, ফলে মাটির গুণগত মান কমে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জৈব সার ব্যবহারই হতে পারে টেকসই কৃষির অন্যতম সমাধান। জৈব সার প্রাকৃতিক উপাদান যেমন গোবর, কম্পোস্ট, জৈব বর্জ্য ও সবুজ সার থেকে তৈরি হয়, যা মাটিতে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে এবং মাটির গঠন উন্নত করে। এটি মাটির জৈব পদার্থের পরিমাণ বাড়িয়ে জলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ফলে খরা বা অতিবৃষ্টিতেও ফসলের উৎপাদন তুলনামূলক স্থিতিশীল থাকে। একই সঙ্গে জৈব সার ব্যবহারে ফসলের গুণমান উন্নত হয় ও মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক অবশিষ্টাংশের ঝুঁকি কমে। অতএব, মাটি ও ফসলের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য রক্ষায় জৈব সার ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। টেকসই কৃষি ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য কৃষকদের জৈব সার ব্যবহারে উৎসাহিত করা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান এখন সময়ের দাবি।

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার International System for Agricultural Science and Technology (AGRIS) ডাটাবেজে স্থান পেয়েছে। খাদ্য ও কৃষি সংস্থার এই বৈশ্বিক ডাটাবেজ আনুষ্ঠানিকভাবে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িকী "Journal of Sylhet Agricultural University" কে তার বৈশ্বিক কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ক প্ল্যাটফর্মে একীভূত করেছে।

কৃষিবিদ ডা. শাহাদাত হোসেন পারভেজ: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নারীর অবদান অপরিসীম। তবুও বাস্তবতা হলো যখন কোনো তরুণী মা পর্যাপ্ত শিশু পরিচর্যার সুযোগ না পেয়ে চাকরি ছাড়তে বাধ্য হন, কিংবা কোনো ছাত্রী সন্তান বা পরিবারের দায়ভার সামলাতে গিয়ে পড়াশোনা বন্ধ করে দেন, তখন শুধু একটি পরিবারই নয় সমগ্র দেশ হারায় সম্ভাবনা, উৎপাদনশীলতা ও অগ্রগতি।

মিজানুর রহমান-শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ দুর থেকে মনে হবে এক দুরন্ত যুবক মাইলের পর মাইল হেঁটে চলেছেন দূর্গম চরাঞ্চলের তপ্ত বালিয়াড়িতে। দলে তিনি এগিয়ে থাকেন সবার সামনে-পথ দেখিয়ে চলেন নতুন প্রজন্মকে। সরকারি দায়িত্ব থেকে অবসর নিয়েছেন ২০১৮তে। কিন্তু কাজ থেকে অবসর নেননি এক দিনের জন্যও। কাজের মাঝেই তিনি খুজেঁ পান তারুন্যের উৎস। তার অগ্রাধিকার তালিকায় থাকে সবচেয় অবহেলিত, সুবিধা বঞ্চিত আর হত দরিদ্র মানুষ। তাইতো তিনি তার কর্মক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন দূর্গম চরাঞ্চল আর হাওড় অঞ্চল যেখানে ঐ মানুষগুলির বসবাস বেশি। রোহিঙ্গা অধ্যুষিত অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় জনগোষ্ঠির কর্মসংস্থান আর কোভিড-১৯ মোকাবেলায় তার নেতৃত্বে ও বেশ সুনামও রয়েছে। এ ধরনের মানুষরাই দেশ ও সমাজের অনুকরণীয়। এ কারনেই হয়তো বাংলাদেশ সরকার তাঁকে অনুসরনীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

লিখেছেন: মৎস্য চাষ বিষয়ক পরামর্শক মাসুম বিল্লাহ (তমাল): দেশে এখন চাষের মাছই প্রাণীজ আমিষের অন্যতম উৎস হিসেবে সাধারণ মানুষের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মৎস্য চাষীরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করছেন তাদের খামারে প্রতিপালিত মাছগুলোকে সুস্থ, দ্রুতবর্ধনশীল ও বাজারযোগ্য রাখতে। কিন্তু মাছের সুস্থতা শুধু বাহ্যিক যত্ন বা খাদ্য ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভর করে না; এর ভেতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ, বিশেষ করে পরিপাকতন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। মাছের অন্ত্রের একটি বিশেষ কোষ গবলেট সেল (Goblet Cell) এই পরিপাকতন্ত্রের সুস্থতা রক্ষায় নীরবে কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।