রাজধানী প্রতিনিধি: বাংলাদেশে হাঁস মুরগি পালন যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং। এমনিতে এরকম উষ্ণ ও আদ্র আবহাওয়ায় খামারীদের অনেক সচেতন হতে হয়। এর সাথে সাম্প্রতিককাল ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালীসহ সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে খামারীদের আকস্মিক বন্যা হতবিহ্বল করে দেয়। এ সকল এলাকার খামারীদেরকে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি জরুরি কিছু টিপস্ দিয়েছেন Healthcare Formulations Limited এর হেড অব সেলস ডা: মো: ইলিয়াস হোসেন।
বাংলাদেশ বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন ক্রান্তিকাল, আকস্মিক বন্যা। আমাদের অর্থনীতিকে দারুন ভাবে চ্যালেঞ্জের এর ভিতরে ফেলেছে। আমরা যেহেতু এনিমেল সেক্টর নিয়ে কাজ করে থাকি। বিভিন্নভাবে এ সেক্টর কিভাবে উন্নতি করা যায়, সেটা নিয়ে আমাদের সবার চিন্তা ভাবনা করা প্রয়োজন। বন্যা কবলিত এলাকাগুলোতে বলতে গেলে কোন ফার্ম অবশিষ্ট নেই। নতুন করে ফার্ম গুলোকে পুনর্গঠন করতে হবে। সম্পূর্ণভাবে ফার্মগুলোকে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। যে সকল ফার্মগুলোতে আমরা খাবার নিয়ে যেতাম সেকল ফার্মের যাওয়ার রাস্তা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সে সকল রাস্তা মেরামত করতে হবে। এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক এবং জুনোটিক রোগের প্রাদুর্ভাব হতে পারে, এদিকে আমাদের নজর দিতে হবে।
এখন ফার্মগুলোর ব্যবস্থাপনা সুন্দর করে, নতুন বাচ্চা উঠাতে হবে এটা আমাদের মূল কাজ। এজন্য আমাদের জীবাণুনাশক ব্যবহার বাড়াতে হবে। বায়োসেফটির মূল উপাদান হল ভ্যাকসিন। যে সকল দোকানগুলোতে কুল স্টোরেজের সুবিধা রয়েছে, সেখাম থেকে ভ্যাক্সিন সংগ্রহ করতে হবে। অনেক জায়গাতে বিদ্যুৎ ছিলনা। এ সকল জায়গায় ভ্যাক্সিন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমাদের যে সকল ট্রেডার রয়েছেন তারা অবশ্যই এ সকল ভ্যাক্সিন ডিসকার্ড করে দিয়েছেন। নতুন ভ্যাক্সিন নিয়ে, সবাই কাজ শুরু করবে, এটা আমরা আশা করছি। অনেকেই ভ্যাক্সিন বাসার ফ্রিজে রেখেছেন। তাপমাত্রা কতটুকু নিয়ন্ত্রিত ছিল, ২- ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল কিনা সেটা আমাদের দেখার বিষয়। ভ্যাক্সিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কুল চেইন মেইনটেইন করা। যেটা কোম্পানির লেভেল থেকে ফার্ম পর্যন্ত কোথাও ১-২ ঘন্টা ব্যত্যয় হলে এ সকল ভ্যাক্সিন নষ্ট হয়ে যায়। কার্যকারিতা কমে যায়।
অনেক জায়গাতে গরু মারা গিয়েছে। গরুর ফার্মগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। খামারীরা ভালো জায়গা গুলো থেকে গরু ক্রয় করতে পারে এবং নতুন করে ফার্ম চালু করতে পারে। বন্যায় দেশের অর্থনীতি দারুন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন তথ্যসূত্র থেকে জানা যায়, এনিমেল সেক্টরে দেশের প্রায় ৪০০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যেটা একদিনে পূরণ হবে না। অবশ্যই আমাদের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী দল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভাইয়েরা বিভিন্ন ভাবে ত্রাণ সংগ্রহ করেছেন এবং বিভিন্ন সংস্থাও এগিয়ে এসেছেন।
আসুন আমার যারা প্রাণিসম্পদ সেক্টরের সাথে জড়িত সকলে মিলে আবার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করি। মহান আল্লআহ্ আমাদের সহায় হউন।-আমিন