জুলুম এক অমার্জনীয় অপরাধ

ইসলামিক ডেস্ক: ইসলাম শান্তি, ন্যায়বিচার ও মানবতার ধর্ম হিসেবে পরিচিত। তবে ইসলামে জুলুম বা অন্যায়ের কোনো স্থান নেই। পবিত্র কুরআন এবং হাদিসে জালিমের (অত্যাচারী) জন্য কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি উচ্চারিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন যে, তিনি জুলুমকারীদের পছন্দ করেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে, দুর্বলদের উপর অত্যাচার চালায় কিংবা অন্যায়ভাবে কারও অধিকার হরণ করে, তারা আল্লাহর কঠোর গজবে পড়বে।

ইসলামে সব ধরনের জুলুম বা অত্যাচার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ও হারাম। শুধু জুলুম নয়, জুলুমে সহযোগিতা করা এবং জালিমদের সঙ্গে সুসম্পর্ক ও ঘনিষ্ঠতা রক্ষা করাও হারাম। আর এ বিধান শুধু মুসলমান নয়, কোনো অমুসলিমের ওপর জুলুম করলেও তার জন্য এ হুকুম। ইসলাম মতে, মানুষের ওপর জুলুম এক ভয়াবহ গুনাহ। এ কারণে পরকালে দোজখে প্রবেশ করতে হবে।

আল্লাহ জালিমকে ছাড় দেন। কিন্তু ছেড়ে দেন না। জালিমকে তার জুলুমের শাস্তি অবশ্যই ভোগ করতে হবে। মজলুমের কাছে মাফ চেয়ে মাফ করানো ছাড়া এ শাস্তি থেকে বাঁচার কোনো উপায় নেই। কারণ তা বান্দার হকের অন্তর্ভুক্ত।

ইসলামী আইন অনুযায়ী, জুলুমের শিকার ব্যক্তি যদি আদালতে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করে, তবে আদালতের দায়িত্ব হল জালিমকে তার শাস্তি প্রদান করা। ব্যক্তি, সমাজ বা রাষ্ট্র কোনো পর্যায়েই জুলুম সহ্য করা উচিত নয়। এমনকি একটি নিরীহ পশুর উপর অত্যাচার করাও ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

ইসলামের শিক্ষা হলো ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা এবং জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। তাই সমাজের সকল স্তরে ন্যায় ও সততার চর্চা এবং জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়াই ইসলামের প্রকৃত বার্তা।

মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সকলকে বাংলার জমিনে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার তাওফিক দিন।-আমিন