ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে-মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম

ইসলামিক ডেস্ক: ইসলামী ও সমমনা দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে ব্যালট বিপ্লব ঘটিয়ে ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম। তিনি বলেন, বিগত ৫৩ বছরে যারা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে তাদেরকে আগামীতে ক্ষমতায় দেখতে চায় না জনগণ। ইসলামের বিজয়ের মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্য জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে।

শনিবার (১ মার্চ) কুমিল্লার জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুমিল্লা উত্তর জেলা শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত দ্বি বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, অন্তর্র্বতীকালীন সরকার এমন একটি ভিত্তি দাঁড় করাবে, যার ওপরে ভিত্তি করে পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকার সংবিধান, নির্বাচন, বিচার বিভাগসহ অন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো সংস্কার করবে। তবে কোনো ভিত্তি দাঁড় না করিয়ে আগে নির্বাচন পরে সংস্কার এটা অযৌক্তিক।

মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম আরো বলেন, আমরা অভূতপূর্ব ঐক্যের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের বিলুপ্ত করেছি। পরবর্তীতে আমরা কী দেখলাম সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে ঐক্য দুটি ভাগ হয়ে গেছে। যার কারণেই আজকে আলোচনা করতে হচ্ছে। ফ্যাসিবাদে জায়গাগুলো দখল করে দখলদারিত্ব করছে অন্য একটি দল। যা সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলছেন বড় একটি দল। বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে গিয়েও আলেমদের সাথে খারাপ আচরণ করতে দেখা যায়, যা কোনভাবেই কাম্য নয়।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) শেখ মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, কুমিল্লা উত্তর জেলা মুজাহিদ কমিটির সদর মাওলানা মোহাম্মদ তৈয়্যব। জেলা আহ্বায়ক এমএম বিলাল হোসাইন ফকিরের সভাপতিত্বে এবং হাফেজ মাওলানা রাশেদুল ইসলামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মো. ইমরান হোসাইন, মুফতি আবুল কালাম কাসেমী, মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আব্দুল করীম, মাস্টার মফিজুল ইসলাম, মুফতি দেলাওয়ার আমীন।

মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম বলেন, আমাদের দেশে ইতিপূর্বে অনেক জনপ্রিয় নেতৃত্ব তৈরি হয়েছিল। তবে জনপ্রিয়তা স্থায়ী হয়নি। কারণ জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা না হলে জনপ্রিয়তা স্থায়ী হয় না। জনগণ ক্ষুধার্ত থাকলে কোনো সরকারই সমর্থন পাবে না। তিনি বলেন, আদর্শিক ও নৈতিক জ্ঞানে দেশের মানুষরা তৈরি না হলে আমাদের দেশের সংকটগুলো কাটবে না। এগুলোর বাস্তবায়ন করা না হলে সংবিধান পরিবর্তন করেও কোনো সুফল আসবে না।

তিনি বলেন, জননিরাপত্তা হুমকির মুখে। চুরি-ডাকাতি, চাঁদাবাজি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আইন-শৃঙ্খলার অবনতি জনজীবনকে বিষিয়ে তুলেছে। এগুলোকে কঠোরহস্তে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। অপরদিকে মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় কার্যকরি উদ্যোগ গ্রহণ এবং নিত্যপণ্যের বাজার সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ব্যর্থ হলে বর্তমান সরকারকে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পরতে হবে।

সম্মেলনশেষে জিএম সাইফুল ইসলামকে সভাপতি হাফেজ মাওলানা রাশেদুল ইসলামীকে সেক্রেটারি করে কুমিল্লা উত্তর জেলা ২০২৫-২৬ সেশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি। পরে তাদেরকে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়।