
এগ্রিলাইফ প্রতিবেদক: প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কৃত্রিম প্রজনন দপ্তরের আয়োজনে এবং এসিআই এনিমেল জেনেটিক্সের সহযোগিতায় সাভারে কৃত্রিম প্রজনন ও জাত উন্নয়ন বিষয়ক ৩৮তম ব্যাচের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, উন্নত জাতের সিমেন পৌঁছে দেওয়া এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লাইভস্টক অ্যাসিস্ট্যান্টদের দক্ষতা বৃদ্ধি প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. বয়জার রহমান এবং সভাপতিত্বও করেন কৃত্রিম প্রজনন দপ্তরের পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহজামান খান।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন ডাঃ অরবিন্দ কুমার সাহা, চিফ অ্যাডভাইজার, এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স; ডাঃ হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, চিফ অ্যাডভাইজার, এসিআই এনিমেল হেলথ; এবং জনাব মোঃ মোজাফ্ফর উদ্দিন আহমেদ, বিজনেস ডিরেক্টর, এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স। তারা বলেন, “খামারিদের কাছে উন্নত জাতের সিমেন পৌঁছে দেওয়া এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষ করে তোলাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”
কর্মশালার সঞ্চালনায় ছিলেন কৃষিবিদ তুখলিফুল মিয়াদ মঈন, এসিস্ট্যান্ট প্রোডাক্ট ম্যানেজার, এসিআই এনিমেল জেনেটিক্স। সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন ড. গোলাম আজম, প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার ও কোর্স পরিচালক।

এসিআই এনিমেল জেনেটিক্সের লাইভস্টক অ্যাসিস্ট্যান্টরা প্রশিক্ষণ সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, এ প্রশিক্ষণ তাদের মাঠ পর্যায়ে আরও দক্ষতার সঙ্গে কৃত্রিম প্রজনন সেবা দিতে সহায়তা করবে। বক্তারা উল্লেখ করেন, নিম্নমানের সিমেন ব্যবহারের ফলে কাঙ্ক্ষিত জাত উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। তাই সঠিক ব্রীডিং পলিসি, মানসম্মত সিমেন ব্যবহার, যথাযথ খামার ব্যবস্থাপনা, পুষ্টি এবং রোগ বালাই নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন অত্যন্ত প্রয়োজন।
কৃত্রিম প্রজনন দপ্তর আশা প্রকাশ করে জানায়, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের দক্ষতা দেশের কৃত্রিম প্রজনন খাতকে আরও উন্নত করবে এবং দুগ্ধ উৎপাদন ও গরু হৃষ্টপুষ্টকরণ খাতে একটি টেকসই শিল্প গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
























