ওবায়দুল ইসলাম: গরম বা শীত যে কোন সময়েই মাছ চাষের জন্য অনুকূল তাপমাত্রা প্রয়োজন। আমরা উষ্ণ অঞ্চলীয় এলাকার মানুষ। আমাদের এই অঞ্চলে যে সমস্ত মাছ চাষ করা হয় তাদের জন্য আদর্শ তাপমাত্রা ২৫ থেকে ৩০ এবং ৩২ পর্যন্ত ধরা হয়। এই তাপমাত্রায় মাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি, প্রজনন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সমুন্নত থাকে। মাছ তখনই সমস্যায় পড়ে যখন তার আদর্শ তাপমাত্রা থেকে কম বা বেশি হয়।
বর্তমান সময়ে সারাদেশেই তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। সারাদেশেই এখন অনুকূল তাপমাত্রা থেকে নিচের দিকে চলে যাচ্ছে। দেশের উত্তরের জেলা গুলিতে এই তাপমাত্রা আরও নিচের দিকে কমতে থাকবে। এছাড়াও রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, ঈশ্বরদী, নওগাঁ, শ্রীমঙ্গল এসব এলাকায় বর্মমানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। কাজেই এসব এলাকার মৎস্য চাষীদের আরো বিশেষ সর্তকতা প্রয়োজন।
এই সময় নার্সারি পুকুরে মাছের ঘনত্ব কমাতে হবে। কারণ পুকুরে এ সময় পানি নড়াচড়া কম হয় ফলে নার্সারি পুকুরে মাছের নানাবিধ সমস্যা দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ যদি কোন নার্সারি পুকুরে ১০০০ মাছ থাকে তাহলে সেখান থেকে কমিয়ে অন্য পুকুরে মাছ স্থানান্তর করতে হবে এবং শতক প্রতি দুইশত থেকে তিনশত মাছ রাখা যেতে পারে এবং এটি প্রায় সকল প্রজাতির মাছের ক্ষেত্রেই বর্তমান সময়ে প্রযোজ্য।
তীব্র এ শীতে পুকুরে মাছ চাষ ব্যবস্থাপনায় অধিক যত্নশীল হতে হবে। বিশেষ করে প্রোবায়োটিক, চুন, লবণ বা অন্যান্য জীবাণুনাশক ব্যবহার প্রয়োজন অনুযায়ী বৃদ্ধি করতে হবে। অভিজ্ঞ মৎস্যবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী দুই থেকে তিন সপ্তাহ পরপর এসব উপকরণ ব্যবহার করতে হবে।
শীতকালে আরেকটি সমস্যা হল প্রচুর পরিমাণে কুয়াশা পড়ে ফলে সূর্যের আলো পর্যাপ্ত না থাকায় তাপমাত্রা কমে যাবে। এ সময় পুকুরে থাকা মাছগুলিকে বাঁচানোর জন্য গভীর নলকূপের সাহায্যে ১০ থেকে ২০ শতাংশ পানি নিচ থেকে উপরে প্রবাহিত করতে হবে যাতে ও তাদের ঠান্ডা থেকে মাছ রক্ষা করা যায়।
লেখক: জুনিয়র এজিএম
নারিশ পোল্ট্রি এন্ড হ্যাচারি লি: