মো: এমদাদুল হকঃ রাজশাহীতে কমিউনিটি ভিত্তিক অভিযোজন মূল্যায়ন (CBA) এর ওপর আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী ও বিসিআরএল প্রজেক্ট (ডিএই পার্ট) এবং সিআরডিএস লিমিটেড দ্বারা কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে রাজশাহী পোস্টাল একাডেমির সম্মেলন কক্ষ (উত্তর কোণ) কক্ষে এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কর্মশালা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা খামারবাড়ির কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইং, পরিকল্পনা পরিচালক ড. মো. নুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ইনষ্টিটিউট এর পরিচালক।
কর্মশালায় রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো: মাহামুদুল ফারুক এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন। রাজশাহী, জেলার কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট, বিএডিসি, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, কৃষি বিপণণ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনষ্টিটিউট, বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনষ্টিটিউট, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনষ্টিটিউট কৃষি তথ্য সার্ভিসসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভাগ কৃষক ও উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ি ও অন্যান্য সরকারি- বেসরকারি দপ্তরের ৬৬ জন কর্মকর্তা অংশ গ্রহণ করেন।
স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন এবং প্রকল্প কার্যক্রমের উপর সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা বিসিআরএল প্রকল্প (ডিএই পার্টি), কম্পোনেন্ট ডিরেক্টর, ড.মো. লোকমান হোসেন মজুমদার।
কর্মশালায় কমিউনিটি ভিত্তিক অভিযোজন মূল্যায়ন (CBA) এর উপর উপস্থাপন করেন, CRDS লিমিটেড এবং CVA এর টিম লিডার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ড. সাকের আহমেদ (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)।
প্রধান অতিথি প্রকল্প বাস্তবায়ন ও আইসিটি উইং, পরিকল্পনা পরিচালক ড. মো. নুরুল ইসলাম বলেন, উত্তর অঞ্চলে অধিক খরা প্রবন এলাকায় ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, এবং ভূগর্ভস্থ পানির হ্রাস খরা এবং পানির অভাবের দিকে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন খরা, পানির অভাব, উচ্চ তাপমাত্রায়, ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। এটি নিয়মি প্রাকৃত দুর্যোগে পরিনিত হয়েছে, এতে করে ফসলের ফলন হ্রাস, কীটপতঙ্গের প্রাদুর্ভাব, এ জন্য খাদ্যের দাম বৃদ্ধি একটি কারন।
তিনি আরো বলেন, দুর্যোগের প্রতিকূল প্রভাব খরা-প্রতিরোধী ফসল, মডেল সেচ, এবং বৃষ্টির পানি সংগ্রহ কমন মিটিগেশন প্র্যাকটিস দুর্যোগের পরে মোকাবিলা করার প্রক্রিয়া খরা-সহনশীল ফসল, ফসলের আবর্তন, এবং বসতবাড়ির বনায়ন সম্প্রদায়-ভিত্তিক অভিযোজন ত্বরান্বিত করা উচ্চ-মূল্যবান, খরা-সহনশীল ফসল, স্বল্পমেয়াদী ফসল, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার কেরতে হবে। এছাড়া আমাদের জরিপে দেখা বৃষ্টির খোলা পানিতে মাছ ধরা পরিবারের সংখ্যা খরার কারেনে কমে যাচ্ছে। খরা মোকাবেলার জন্য রাজশাহী, নওগাঁতে সেচ কম লাগে এধরনের ফসল চাষ বৃষ্টির পানির ব্যবহার তৎপরাতা বৃদ্ধি এবং খরা শহনশীল জাত উদ্ভাবনের জন্য সংশ্লিষ্টদের তৎপর হওয়ার অনুরোধ জানান।
কর্মশালায় খরা প্রবন এলাকাতে উৎপাদনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।