গবাদিপ্রাণীর বীমা নিয়ে খামারিদের জন্য বিশেষ সেবা দিচ্ছে ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: গবাদিপ্রাণী পালন বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত। তবে দুর্ঘটনা, অসুস্থতা কিংবা প্রাণীর মৃত্যু অনেক সময় খামারিদের জন্য বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই প্রেক্ষাপটে ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড দিচ্ছে বিশেষ গবাদিপ্রাণী বীমা সেবা।

ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুর রহমান জানান, ‘এই সেবার মাধ্যমে খামারিরা তাদের আর্থিক ঝুঁকি কমিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে গবাদিপ্রাণী পালন করতে পারবেন। গবাদী প্রাণী বীমা এমন একটি সেবা, যা গবাদিপ্রাণীর মৃত্যুর কারণে খামারিদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করে। ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স এই সেবা চালু করেছে, যাতে খামারিরা আর্থিক সুরক্ষায় এগিয়ে থাকতে পারেন। বীমাকৃত প্রাণী যদি দুর্ঘটনা বা রোগের কারণে মারা যায়, তাহলে খামারি ক্ষতিপূরণ পাবেন। তবে খামারিদের বার্ষিক প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে হবে, যা প্রাণীর বয়স, স্বাস্থ্য ও মূল্য নির্ভর করে।’

রফিকুর রহমান আরো জানান, ‘একজন খামারী একাধিক প্রাণীর জন্য খু্বই সহজে এই বীমা করতে পারবেন। মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থেকে শুরু করা যায়। ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রাণী মারা গেলে নির্দিষ্ট নথি জমা দিতে হবে, যেমন- প্রাণি চিকিৎসকের সার্টিফিকেট, বীমার কাগজপত্র ইত্যাদি। বীমা সংক্রান্ত যেকোনো সাহায্যের জন্য ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স-এর স্থানীয় অফিসে যোগাযোগ করা যাবে। এছাড়া সমস্যা হলে অভিযোগ দাখিলের বিশেষ সুযোগ রয়েছে।’

ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির এই গবাদীপ্রাণিবীমা গ্রহণ করে কুমিল্লার আসলাম আলী নামের একজন খামারী বলেন, ‘প্রাণিবীমা গ্রহণ করে আমি ঝুঁকিহীন আছি। আমার গবাদী পশু লালন-পালন নিয়ে আর কোন টেনশন নেই। কারণ, ইন্স্যুরেন্স করা আমার কোন পশু কোন কারণে মারা গেলেও ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর নিকট থেকে সমদুয় অর্থ ফেরত পাবো। আর ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের প্রাণী বীমা করা অনেক সহজ। তাই আমি খামারী ভাইদের বলবো, সবাই যেন এ বীমা গ্রহণ করে তাদের গবাদীপশুকে সুরক্ষিত লালন পালন করে।’

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক জানান, ‘গবাদিপ্রাণী বীমা খামারিদের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি শুধু আর্থিক সুরক্ষা নয়, বরং গবাদিপ্রাণী খাতের টেকসই উন্নয়নেও অবদান রাখবে। খামারিদের জন্য ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয়।’