ভাবনাহীন আলুচাষে এসিআই সমাধান: ভ্যালেন্সিয়া

এগ্রিলাইফ২৪ ডটকম: বাংলাদেশের আলু খাতে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য উচ্চ-মানের বীজ আলু সরবরাহের গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে দেশে ০.৪৫ মিলিয়ন হেক্টর জমি থেকে ১০.৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়। ফলন বৃদ্ধি, রোগের প্রকোপ হ্রাস এবং কৃষি লাভজনক করতে উচ্চফলনশীল জাতের প্রয়োজনীয়তা অনেক। এই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নেদারল্যান্ড থেকে ভ্যালেন্সিয়া আলুর জাত নিয়ে এসেছে এসিআই সীড । উচ্চমানের বীজ আলু সরবরাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে এসিআই ২০২৪-২৫ মৌসুমে ব্যাপকভাবে বীজ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে।

রবিবার (২৬ জানুয়ারী এসিআই এগ্রিবিজনেসেস-এর প্রেসিডেন্ট ড. এফ. এইচ. আনসারী দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্যালেন্সিয়া সহ বিভিন্ন জাতের বীজ আলুর মাঠ পরিদর্শন করেন। মাঠ পরিদশনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিজনেস অপারেশন ম্যানেজার, এসিআই সীড, ডিজিএম, বীজআলু উৎপাদন প্রোগাম এবং প্রোগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

তিনি জাতটির পর্যবেক্ষণ করে বলেন, ভ্যালেন্সিয়া আলুর চাষ বাড়ানোর মাধ্যমে কৃষকদের সম্পদশালী করা সম্ভব। একই মৌসুমে একই জমিতে দুইবার আলু চাষের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে ভ্যালেন্সিয়া কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করছে।

তিনি বলেন ভ্যালেন্সিয়া আলুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি ৯০ দিনের মধ্যে হেক্টরপ্রতি ৪৫ মেট্রিক টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম, যা দেশের বিদ্যমান জাতগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। আরও চমকপ্রদ হলো, এটি মাত্র ৫৫-৬০ দিনের মধ্যে হেক্টর প্রতি ২২-২৫ মেট্রিক টন ফলন দিতে পারে। এভাবে আগাম আলু তুলে উচ্চমূল্যে বিক্রি করার সুযোগ পেয়ে কৃষকরা আর্থিকভাবে উপকৃত হচ্ছেন।

ভ্যালেন্সিয়া আলুর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এটি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ৯০ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। এর শুষ্ক পদার্থের পরিমাণ ২২.৫% বা তার বেশি এবং তেল শোষণের হার ৩%-এর নিচে। ফলে এটি সুস্বাদু ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরির জন্য অত্যন্ত উপযোগী।

দেশের প্রচলিত কিছু জনপ্রিয় আলুর জাত স্ক্যাব রোগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়, যা ফলনের ১৫-২৫% পর্যন্ত ক্ষতি করতে পারে। স্ক্যাব সহনশীল ভ্যালেন্সিয়া জাত এই ক্ষতি থেকে কৃষকদের রক্ষা করতে পারে। এসিআই বাজারজাতকৃত এই জাতটি রপ্তানি ও শিল্প ব্যবহারের জন্যও উপযোগী। ফলে এটি অল্প সময়ের মধ্যেই কৃষকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

এছাড়া, এসিআই উদ্ভাবিত জাত ACI Fry Alu-2, ACI Alu-14, Ges ACI Alu-19 সন্তোষজনক ফলাফল দিচ্ছে ফলে কৃষকদের মাঝে দিনে দিনে জাতগুলোর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।